জুলাই শহিদ পরিবারদের এককালীন টাকার পাশাপাশি মাসিক ভাতা ও চাকরি নতুন কোটা হিসেবে যুক্ত হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা ৩৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান তিনি।
স্ট্যাটাসে নাহিদ ইসলাম লেখেন, ‘জুলাই শহিদ পরিবারদের এককালীন টাকার পাশাপাশি মাসিক ভাতা ও চাকরির কথা বলা হয়েছে। চাকরিতে এটা কোনো নতুন কোটা হিসেবে যুক্ত হবে না। পরিবারের কর্মক্ষম কোনো একজন ব্যক্তিকে একবারের জন্যই যোগ্যতার বিচারে সরকারি-আধা সরকারি অথবা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য এটা বিবেচ্য হবে না।
আহতদের ক্ষেত্রে যারা সারাজীবনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (অন্ধ কিংবা অঙ্গহানী) এবং আর কখনো কর্মক্ষম হতে পারবে না তাদের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরকম আহতদের একটা বড় অংশই তরুণ এবং বাকি জীবন তাদেরকে আন্দোলনের ক্ষত বয়েই বেড়াতে হবে, অনেককে দীর্ঘকাল চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার ও গুরুতর আহতদের পুনর্বাসন এবং এই পরিবারগুলোর ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা দেওয়াটা আমাদের অঙ্গীকার ছিলো এবং রাষ্ট্রের দায়িত্বও বটে। কয়েক হাজার পরিবার অচল হয়ে গিয়েছে এই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণের ফলে। তাদের এই ক্ষতি আমরা কোনোকিছু দিয়েই পূরণ করতে পারবো না।আর এই পরিবারগুলো যেকোনো সুযোগ সুবিধার চেয়ে কেবল সকলের থেকে সম্মান ও মর্যাদা চায়।’
উল্লেখ্য, এর আগে সরকার জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রতিটি শহিদ পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা, মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা এবং কর্মক্ষম সদস্যদের সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। গুরুতর আহতদের এককালীন ৫ লাখ টাকা, মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা, আজীবন চিকিৎসা সুবিধা এবং পুনর্বাসন সুবিধা প্রদান করা হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম