বাংলাদেশে বর্ষাকালে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হয়। ঘূর্ণিঝড় রিমালের পর সেই বায়ু চলে এসেছে দেশে। চলতি সপ্তাহের প্রথমার্ধে সারাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষাকাল) বিস্তার লাভ করতে পারে। এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। স্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর রোববার জুন মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে। অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ পূর্বাভাস দেন। সেখানে জুন মাসের তাপপ্রবাহ, বৃষ্টি, নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়– এসব বিষয়ে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। জুন মাসে চার থেকে ছয় দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সদ্য শেষ হওয়া মে মাসজুড়ে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এই মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের হার ২৮৪ মিলিমিটার। গত মাসে সবচেয়ে বেশি ৭৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে। এরপর রয়েছে বরিশাল। সেখানে ৩৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। তবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে।
মে মাসের শেষ দিকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার সময় পটুয়াখালী ও খেপুপাড়ায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার। এ সময় নারায়ণগঞ্জে দৈনিক সর্বোচ্চ ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
বাংলাদেশ ও এর আশপাশের অঞ্চলে মৌসুমি বায়ু সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত– এই চার মাস অবস্থান করে। দেশে প্রতিবছরের মোট বৃষ্টিপাতের ৭১ শতাংশ হয়ে থাকে এই সময়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় জুলাইয়ে। এই মাসে গড় বৃষ্টির পরিমাণ ৫২৩ মিলিমিটার। এরপরই রয়েছে জুন। এই মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টির পরিমাণ ৪৫৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার। আগস্টে ৪২০ দশমিক ৪ ও সেপ্টেম্বর মাসে ৩১৮ দশমিক ২ মিলিমিটার গড় বৃষ্টি হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি