যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরিন ন্যায়বিচার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিচারে পক্ষপাত হতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। তার স্বামী মাসুদ রানা একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ায় তার এমন আশঙ্কা বলে তিনি দাবি করেন।
যবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরিন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার সাথে তার বিয়ে হয়। সংসার চলাকালে তার স্বামী ঢাকায় প্লট কেনার জন্য দশ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে তাকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মাসুদ রানাকে পাঁচ লাখ টাকা দেন তার বাবা। এরপর তিনি কিছুদিন চুপ থাকলেও ফের পাঁচ লাখ টাকার জন্য তিনি শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। উপায়ন্তর না পেয়ে তিনি যশোরে তার বাবার বাড়ি ফিরে আসেন ও গত ১৪ সেপ্টেম্বর যশোরের আমলী আদালতে (সদর) যৌতুক আইনে মামলা করেন। যার নম্বর (সিআর-১১৪৯/২০২০, ১৪.০৯.২০২০)।
তিনি বলেন, মামলার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর মাসুদ রানা, তার বোন রাণী ও বোনাই জিয়াউর রহমানকে সাথে নিয়ে বাড়িতে আসেন আপোষের জন্য। কিন্তু তারা এসে ফের আমাকে যৌতুকের দাবিতে মারধর করেন। পরবর্তীতে আমি যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন মামলা দাখিল করি। যার নম্বর (নম্বর-৪৫/২২.০৯.২০২০)।
সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরিন বলেন, ইতোমধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ যশোরের ৪৫/২০২০ নম্বর পিটিশন মামলার বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধানে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। কিন্তু বিচারক ১১ নভেম্বর আদেশ প্রদান না করে বাদীকে (ফারজানা নাসরিন) ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
এ নিয়ে তিনি আশঙ্কা করেন, মাসুদ রানা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ায় সুবিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় তিনি যাতে সুষ্ঠু বিচার পেতে পারেন, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ইকবাল কবির জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক ড. আমজাদ হোসাইনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক। তারাও শিক্ষক ফারজানা নাসরিনের ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন