জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় দ্রুত পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলনের নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, জলবায়ু ও জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় গ্যাস ও এলএনজি ব্যবহার বাড়ানো কোন সমাধান নয়, বরং সবুজায়ন-নবায়নযোগ্য জ্বালানিই ভবিষ্যৎ। তাই গ্যাস ও এলএনজিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে। কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়াতে হবে। শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, অবিলম্বে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আজ শনিবার ‘গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশন এন্ড ফুসিল ফুয়েলস ফর ক্লাইমেট জাস্টিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনায় সাইকেল র্যালি ও সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। নগরীর রয়্যাল মোড়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ওয়াটারকিপারস-বাংলাদেশ, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, কোস্টাল ভয়েস অব বাংলাদেশ (কব) ও খুলনা সাইক্লিস্ট যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
কব সভাপতি মোস্তফা জামাল পপলুর সভাপতিত্বে র্্যালির উদ্বোধন করেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বক্তব্য দেন খুলনা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, ন্যাপ নেতা এনামুল হক, কব সাধারণ সম্পাদক কৌশিক দে, সাংবাদিক মোরশেদ নেওয়াজ, খুলনা সাইকেলিং এর গোলাম রাব্বানী, মোঃ সেতু আলম ছাত্রনেতা সৌমিত্র সৌরভ, রিয়াদ হোসেন হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভয়াবহ দূর্যোগের ঝুঁকিতে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল। এই অঞ্চলের জীবন-জীবিকা, সম্পদ, খাদ্য, পানি, বাসস্থানসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নানামূখী সংকট দেখা দিচ্ছে। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ধনী দেশগুলো বারবার ক্ষতিপূরণের আশায় দিলেও তা বাস্তবায়ন করছে না। ফলে ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে মানুষের জীবন জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। জলবায়ু ক্ষতিপূরণ কোন দয়া নয়, অধিকার। একই সাথে বক্তারা ফিলিস্তিন ইসরাইলে আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম