১.
কখনো জীবন-স্রোত থেমে যায়!
কর্ণফুলী নদীর-খরস্রোত সাগর মোহনায় মিশে যায়,
– চৈত্রে, শুকায় নদীজল, মাটি চৌচির, বুকে জ্বলে অনল।
খর-উত্তাপে জ্বলে, বাঁশঝাড়-ফুলবন। গজারি, শালবন।
কালো ধোয়ার, বিষাদ ছায়ায়, দাবানলে
– জ্বলে উঠে; বন-উপবন। কতো কায়ক্লেশে;- এ
– মানব জীবন। এই মৌসুমে শুকায় লেকের জল!!
অমাবস্যার রাতের অন্ধকারে, আকাশের দেখা যায় না
– জোৎস্নাতারা। ডুবে যে চাঁদ!
ঋতুবদলে, বর্ষা বাদলে বৈকালী প্রহরে আকাশের
চাঁদ অকস্মাৎ ডুবে যায়। ডুবে রঙধনু রঙের সুন্দর উজ্জ্বল আভা,
– ডুবে – নীলাকাশের, ওই সোবহে সাদেকে, ভোরের ধ্রুবতারা।
বয়স বাড়লে, দৃষ্টিনন্দন চোখ ঝাপসা হয়ে যায় –
জীবন তরঙ্গে, কখনো চোখের জ্যোতি কমে যায় –
বার্ধক্য এলে, জীবন বৈচিত্র্য বদলে যায়;
মোহমায়া জালে আবদ্ধ যে হৃদয়,
সুখ খুঁজে ধু ধু – মরু প্রান্তর – যেখানে,
মরু-সাহারায় মরুর জাহাজ চলে, উটের পিঠে মানুষ চড়ে –
দূর-দূরান্তর সফর করে নির্দ্বিধায়, শান্তি, নিরাপত্তায়।
২.
কখনো পাহাড়ী ঢলে, ‘পাহাড়-বসতি মানুষ’
অসহায়। দুর্যোগে, ধৈর্য্য, সাহসে
জীবন স্রোতে-সংসার পরিক্রমায়। কেবল-স্মৃতি,
কান্না-হাসির ছোঁয়ায়।