চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্ত থেকে মোহাম্মদ আলী পান্না (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের নাক, একটি কান ও বুকে ক্ষতচিহ্ন অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার (১৫ মে) ভোরে হরিহরনগর সীমান্তে সেগুন বাগানের মধ্যে থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি, সিআইডি, এনএসআই পিইবি সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহত যুবক উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের নতুন মসজিদ পাড়ার মো. আতিয়ার রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পান্না মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত। সে প্রায় রাতে সীমান্তে যেত। রবিবার রাতে যেকোন সময় মাদক আনতে গিয়ে দ্বন্দ্বে অথবা বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন এলাকার লোকজন।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, নিহত ব্যক্তি মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয়দের কাছে জানতে পেরেছি। নাক ও একটি কান শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে এবং লাশের বুকে ক্ষত দেখে বোঝার উপায় নেই এটি গুলিবিদ্ধ কিনা তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা জানতে পেরেছি নিহত ব্যক্তি মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িয়ে ছিলো। ঘটনাটি অভ্যন্তরীণ হতে পারে। এটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জিরো পয়েন্টের ৭০০ গজ ভেতর থেকে উদ্ধার করেছে পরিবারের সদস্যরা। নিশ্চিত না হওয়ায় বিএসএফের (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) কাছে ঘটনা জানতে চাওয়া হয়নি। তা ছাড়া সীমান্তে গুলির শব্দ শোনা যায়নি।
খুলনা গেজেট/এনএম