চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী, কেডিকে, মনোহরপুর, বাঁকা, হাসাদাহ, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ থেকে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বর্তমানে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ২৮ জন। আর সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহর করেছেন ৬ জন।
সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন এই তথ্য জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান। তিনি জানান, চেয়ারম্যান পদ থেকে বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদে শামীম হোসেন, উথলীতে লিমন ফেরদৌস এবং মনোহরপুর থেকে মো. রাজা মিয়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ৬ ইউপিতে সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ১৮০ আর সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে জমা দিয়েছিলেন ৫৬ জন।
জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উথলী ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন আব্দুল হান্নান, আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন বিএনপি নেতা আবুল কালাম আযাজ, আফজালুর রহমান, শাখাওয়াত হোসেন, মো. আব্বাস উদ্দিন জোয়াদ্দার।
মনোহরপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন সোহরাব হোসেন খান, স্বতন্ত্র প্রার্থীলা হলেন কামরুজ্জামান। আর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হলেন আবু নাঈম ।
কে ডি কেতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. খাইরুল বাশার শিপলু । স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন মো. তানভির হোসেন ও মো. মহিবুল হক।
বাঁকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল কাদের প্রধান। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন মো. আবুল কাশেম মুন্সী, মাওলানা হাফিজুর রহমান, রাজা আহাম্মেদ, মো. শাহাববুদ্দিন মালিতা, মো. তরিকুল ইসলাম।
হাসাদহে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রবিউল ইসলাম। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন মো. সোহরাব বিশ্বাস , মো. ইসরাফিল হুসাইন, মো. সামছুল আলম, মো. বাবুল আকতার টলো ,জাতীয় পাটির মো. মতিয়ার রহমান।
রায়পুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন তাহাজ্জদ মিজা। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন মো. আব্দুর রশিদ শাহ , সাজ্জাদ বিশ্বাস, মো. সাজ্জাদ হোসেন ও মো. আব্দুল হান্নান।
উথলী, কেডিকে ও মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন জীবননগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেজর আহমেদ। আর বাঁকা, হাসাদাহ, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটার্ন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান।
ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, ১৬ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।