খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

জীবননগরে স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১

জীবননগর প্রতিনিধি

জীবননগরে ৪র্থ শ্রেণির স্কুল শিক্ষার্থীকে জোরপৃর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গঙ্গাদাশপুর গ্রামের মৃত ম্যাকানি ফকিরের মেয়ে গঙ্গাদাশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী ফাহমিদা খাতুন (১৪) একই গ্রামের হাজী আঃ মালেক মোল্লার মেজ ছেলে সীমান্ত ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিল্টন মোল্লার বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে। সেই সুবাদে মিল্টন মোল্লার চাচাতো সালা একই গ্রামের প্রভাবশালী মোহাম্মদ আলী মাস্টারের ছেলে কুতুব উদ্দিন বিপুল (৪৫) সু-কৌশলে গত সাত মাস আগে বাড়ির পাশে মাঠে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার আগেই ধামাচাপা দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়েটির শরীরের পরির্তন দেখা দিলে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি মুখোরুচি ঘটনায় রুপান্তর হয়।

জানা গেছে মেয়েটির গর্ভে সাত মাসের বাচ্চা আছে। অবশেষে মেয়ের বোন ফারহানা খাতুন বাদি হয়ে জীবননগর থানায় বিপুলের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন ২০০৩ সালের সংশোধনী ধর্ষণ আইন ৯/১ ধারায় মামলা করলে পুলিশ ধর্ষককে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

মেয়ের বোন ফারহানা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরীব মানুষ আমাদের বাবা নেই আমরা অনেক কষ্ট করে মানুষ হয়েছি। আমার বোনকে যে ধর্ষণ করেছে আমরা তার সঠিক বিচার চাই।

অভিযুক্তের ভাই শিপুল বলেন, মেয়েটি মিল্টন মোল্লার বাড়িতে কাজ করতো। তারা জোর করে আমার ভায়ের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে, আমার ভাই মেয়েটিকে ধর্ষণ করেনি।আমরা যখন শুনতে পেরেছি মেয়েটির পেটে সাত মাসের বাচ্চা আছে তখন তারা বাচ্চাাটা নষ্ঠ করতে চেয়েছিল। আমরা নিষেধ করেছিলাম এবং বলেছি বাচ্চাটার ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে তা হলে বুঝা যাবে বাচ্চার বাবা কে কিন্তু তারা রাজি হয়নি। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে ফাসানোর জন্য এ মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

সীমান্ত ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিল্টন মোল্লা বলেন, মেয়েটি আমার বাড়িতে অনেক দিন যাবৎ কাজ করে। আমি মেয়েটিকে সমস্থ বিষয় জানতে চাইলে মেয়েটি আমাকে বলে বিপুলের জমির পাশে ঘাস কাটতে গেলে বিপুল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, গঙ্গাদাশপুর গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভিকটিমের বোন থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করলে পুলিশ তাকে আটক করে এবং আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। সেই সাথে ধর্ষণের কোন সিমটাম আছে কি না সে বিষয় জানার জন্য ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে আসলে ধর্ষণ না অন্য কিছু ।

 

খুলনা গেজেট/এমএইচবি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!