চুয়াডাঙ্গার জীবননগর মসজিদে (মক্তব) পড়তে এসে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে তৃতীয় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্র।
মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার হাসাদাহ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী পরিবার তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত নাজমুল হোসেন। তিনি ওই এলাকার একটি মসজিদের মুয়াজ্জিনের দ্বায়িত্ব পালন করেন।
নির্যাতনের শিকার ৮ বছর বয়সী শিশুটি স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা।
ভুক্তভোগী শিশুটির মা বলেন, ‘প্রতিদিন ফজরের নামাজ শেষে মসজিদে আরবি শিক্ষা দেন ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন নাজমুল হোসেন। মঙ্গলবার ভোরে আমার ছেলেকে একা পেয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন মুয়াজ্জিন। অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আমার ছেলে ঘটনাটি জানালে আমরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।’
নির্যাতনের শিকার ওই শিশু বলে, ‘আগের দিন হুজুর আমাকে প্রতিদিনের মতো পড়তে আসতে বললেও অন্যান্য ছাত্রদের দেরিতে আসতে বলেন। আমি আরবি শিখছিলাম। এমন সময় হুজুর আমাকে পাশের একটি ঘরে নিয়ে যান এবং আমার উপর নির্যাতন করেন। আমি অসুস্থ হয়ে গেলে কাউকে কিছু বললে হুজুর আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র সার্জারি কনসালটেন্ট ওয়ালিউর রহমান নয়ন বলেন, ‘আমরা ওই শিশুর নমুনা সংগ্রহ করেছি। রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানাতে পারবো।’
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অভিযুক্ত নাজমুল হোসেনকে আটকের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর এলাকা থেকে পালিয়েছে সে। তাকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে।’ এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম