চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় শাপলা এক্সপ্রেসের কেজিএন বাসের ধাক্কায় ভ্যান চালক মোতালেব (৫০) নামের একজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কন্দর্পপুর গ্রামে মসজিদের নিকটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর পালিয়ে যান বাস চালক ও তার সহকারি।
দুর্ঘটনার পর কালীগঞ্জ-চুয়াডাঙ্গা সড়কে আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ করে দেয় উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে পুুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের মৃত তাজউদ্দীন ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে জীবননগর উপজেলার কন্দর্পপুর গ্রামে স্টান্ড পাড়ায় শ্বশুর মৃত সরোয়ার হোসেনের বাড়ি বসবাস করতেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে জীবননগর বাজার থেকে ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মোতালেব। এ সময় হাসাদহ থেকে জীবননগরের দিকে আসা শাপলা এক্সপ্রেসের কেজিএন ( চুয়াডাঙ্গা-জ ১১-০০১১)নামের একটি যাত্রীবাহী বাস কন্দর্পপুর পৌছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের বিপরীত দিকে থেকে আসা পাখি ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পাখি ভ্যান চালক মোতালেবের মাথায় মারাত্মক ভাবে আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বাসচালকে গ্রেপ্তার করে হত্যার বিচার করতে হবে। না হলে তারা সড়ক অবরোধ করে রাখবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, দুর্ঘটনার পর বাস চালক ঘটনাস্থলে বাস রেখে পালিয়ে যান,বাসটি জব্দ করা হয়েছে।মোতালেবের পরিবার এ ঘটনায় মামলা করবে না জানিয়েছে। তারা ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তরের জন্য আবেদন করলে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই