কোন জমিতে রয়েছে পাকা আমন ধান, কোন জমিতে রয়েছে মুগ, শাক-সবজি, সরিষা, ভুট্টা, বীজতলা ও গোল আলু। ফসলও ভালো হয়েছে। কৃষক স্বপ্ন বুনছে ফসল বিক্রি করে ধার-দেনা শোধ করবে। কিন্তু সেই স্বপ্নে হানা দেয় অসময়ের বৃষ্টি। নষ্ট হয়ে যায় ফসলের ক্ষেত। চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টির পানি জমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দিগন্ত জোড়া ফসলের ক্ষেত এতে ধার-দেনা ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করা শত শত কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজি ও আমন ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে।রোববার দুপুর থেকে শুরু হয়ে সোমবার বিকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে পানি জমে গেছে সবজি ও ধানের জমিতে।
এতে আগাম লাগনো শীতকালীন সবজি ফুলকপি,বাধাকপি, মুলা, শিমসহ আমন ধান, আলু, বীজতলা ও ভুট্টা ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ মাঠের ফসলের এমন ক্ষতিতে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
কথা হয় কৃষক মুফার সঙ্গে তিনি বলেন, ৭ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। বৃষ্টির কারণে এখন জমিতে পানি জমে গেছে। পানি নামলেও ঠিক মতো চারা বের হবে না, গাছ দুর্বল হয়ে উৎপাদন অর্ধেক কমে যাবে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শাহাবুল,জামাল, মামুন, আলমগীর, খোরশেদ, রতন, শানু, রাসেদ, খালেক সহ অনেকে জানান, তারা ধার-দেনা ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছি। মাঠে ফসলও ভালো হয়। এবার মাঠে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে সকল ধার দেনা পরিশোধ করে ফের মাঠে ফসল উৎপাদন করবে বলে স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু সব শেষ হয়ে যায় বলে কান্না শুর করেন অনেকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার শারমীন আক্তার জানান, বৃষ্টির পানিতে অনেক ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে ধানের বা অন্য ফসলের থেকে সরিষার ক্ষতিটা বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । বিষয়টি উধ্বর্তন কর্মকতাদের অবহিত করা হবে। কৃষি প্রণোদনা এলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর ইসলাম জানান, অসময়ে বৃষ্টিতে কৃষকরা ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে। তবে সরকার প্রণোদনা দিলে ক্ষতিগ্রস্থদের দেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই