জীবননগর উপজেলায় কথিত যুবলীগের কর্মি ও কিশোর গ্যাং গ্রুপের দু’সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। অটো রাইস মিল থেকে চাঁদা ও জোর করে ছাগল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।তবে এ গ্রুপের প্রধান সাইফুল ইসলাম পালিয়ে গেছে।
বুধবার(২৪ নভেম্বর) দুপুরে শহরের পৌর এলাকার লক্ষীপুর মিলপাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে জীবননগর থানা পুলিশ আটক করেন।
এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪ জনের নামে জীবননগর থানায় চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে।
জীবননগর পৌর শহরের লক্ষীপুর মিলপাড়ার রবিউল ইসলাম রবির ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২), মুজিবুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৭) ও আব্দুল হকের ছেলে আব্দুর রহমান(২৭) কথিত যুবলীগ কর্মি ।সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে এলাকায় একটি কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠে।
এ গ্রুপটি এলাকায় দুর্দান্ত প্রকৃতির হওয়ায় এলাকাবাসী তাদের ভয়ে আতঙ্কিত ছিলেন। সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে গ্যাংয়ের সদসরা এলাকায় চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপর্কম করে আসলেও ক্ষমতাসিন দলের প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় থাকায় এবং তারা ভয়ংকর হওয়ায় এলাকাবাসী তাদের সব অত্যাচার নিরবে সহ্য করে আসছিলেন।
দেশ বাংলা অটো রাইস মিল ইন্ডাস্ট্রিজ প্রা:লি: এর সত্বাধিকারী ইমাম হোসেন দুলাল বলেন, আমরা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার সুযোগে সাইফুল ইসলাম তার সহযোগীদের নিয়ে প্রায়ই আমার মিল থেকে মোটা অংকের চাঁদা নিয়ে যেত। এ পর্যন্ত তারা ৫-৬ বারের অধিক সময় দেড় লক্ষাধিক টাকারও বেশী চাঁদা নিয়েছে। অন্যদিকে আমার মিলের বাউন্ডারিতে পালন করা ২২ টি বড় সাইজের খাসি ও বকরি ছাগল জোর করে নিয়ে গেছে। যার দাম আড়াই লাখ টাকা হবে। সাইফুল ইসলাম সর্বশেষ ২২ নভেম্বর বিকালে আমার নিকট আবারও চাঁদা দাবী করে। কিন্তু তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে টাকা দিতে না পারায় সাইফুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে আমার রাইস মিল থেকে একটি বড় বকরি ছাগল জোর করে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। আমরা সাইফুলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হইয়া পড়েছি। আমাদের এলাকায় সে আতঙ্কিত।
এক সময় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও বর্তমানে ক্ষমতাসিন দলে নাম লিখিয়ে এলাকায় নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় সাইফুলকে প্রধান আসামি করে তিনজনসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনের নামে একটি মামলা দেয়া হয়েছে।
৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল হোসেন খোকন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাইফুল ইসলাম গ্যাংয়ের প্রধান হিসাবে এলাকায় পরিচিত। তার বিরুদ্ধে এলাকায় চুরি ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তারা আমার একটি ছাগলও চুরি করে খেয়ে ফেলেছে। তারা এলাকায় ত্রাস হিসাবে পরিচিত।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন, সাইফুলসহ তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে শহিদুল ও আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএ