জীবননগর উপজেলায় করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। শুক্রবার সকাল থেকে এ কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা সভাকক্ষে করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় নেয়া সিদ্ধান্তগুলো হলো, সব ধরনের দোকানপাট সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকবে, এসব দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে। ওষুধের দোকান সব সময় খোলা থাকবে। নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শিয়ালমারি পশুহাট বন্ধ থাকবে, জনসাধারণকে বিনা প্রয়োজনে গণজামায়েত করা যাবে না, বাইরে বের হলে ও মসজিদে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামুলক, যারা করোনায় আক্রান্ত হবেন তাদের বাড়ি লকডাউন করা হবে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জেলা প্রাশাসক মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম ও জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকীসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, জীবননগর বাজারের দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ, উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা ও সুধী মণ্ডলী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুনিম লিংকন বলেন, দিন দিন করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। এমন অবস্থায় করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় শুক্রবার থেকে কঠোর বিধিনিষেধসহ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এসব নির্দেশনা সঠিকভাবে মানতে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক বিষয়গুলো তদারকি করা হবে। যদি সবাই সঠিকভাবে নির্দেশনা মেনে চলেন, তাহলে করোনা সংক্রমণের হার অনেক কমে আসবে। আর যদি না হয়, সে ক্ষেত্রে লকডাউনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই