চুয়াডাঙ্গার জীবননগর গলায় দড়ি দিয়ে ঝর্ণা (২০) নামে এক মেয়ে আত্নহত্যা করেছে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর তিনটার দিকে বসত ঘরের আড়ার সাথে দড়ি দিয়ে সে আত্নহত্যা করে। ঝর্না পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে লক্ষীপুর গ্রামের মকলেচ আলীর মেয়ে।
স্থানীয় ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, ঝর্নার বছর ৩/৪ বছর আগে মহেশপুর উপজেলার মান্দারতলা গ্রামে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি আড়াই বছর বয়সের ছেলে সন্তান রয়েছে। ছেলেটি সঙ্গে নিয়ে বাবার অসুস্থর কথা শুনে কিছুদিন আগে দেখতে এসেছিল। শনিবার দুপুরে ছেলে বায়না ধরে চিপস খাওয়ার। সে তার ছেলেকে বাবার (মকলেচ আলী) চায়ের দোকানে চিপস আনতে পাঠালে বাবা মেয়ের মাঝে মনোমালিন্য হয়। পরবর্ততে বাড়িতে কেউ না থাকায় বসত ঘরের আড়ায় দড়ি দিয়ে আত্নহত্যা করে। পরে বাড়িতে ফিরে পরিবারের লোকজন ঝর্নাকে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। চিৎকার চেচামেচিতে পরিবারের অন্যরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ডাক্তারের কাছে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিল জামাল হোসেন খোকন বলেন,ঘটনা শোনার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম বাবা মেয়ের মাঝে চিপস নিয়ে মন-অভিমানে সে আত্নহত্যা করেছে বলে আমি তার প্রতিবেশিদের কাছে শুনি।
এ তথ্য নিশ্চিত করে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, বাপের উপরে অভিমান করে আত্নহত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।