চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে এক রাতে ১১ টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসময় আনুমানিক দেড় লাখ টাকা ও এক জোড়া আটআনা স্বর্ণের চুড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় চোরচক্র।
গত শনিবার দিবাগত গভীর রাতে জীবননগর বাজারের চ্যাংখালী ও হাসপাতাল সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এসময় চ্যাংখালী সড়কের সাহারা হার্ডওয়ার, মেসার্স শরিফ ষ্টোর, আল্লাহর দান ইলেকট্রনিক্স, পারভেজ হার্ডওয়ার, তৌফিক হার্ডওয়ার, তমা ক্লথ স্টোর, জুয়েল ইলেকট্রনিক্স, সবুজ ইলেকট্রনিক ও হাসপাতাল সড়কে ফুড গার্ডেন রেষ্টুরেন্ট, সরকার হোমিও হল ও দেলুয়ারের চায়ের দোকানে এ চুরির ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোন এক সময় সংঘবদ্ধ চোর চক্র দোকানের টিন কেটে,সার্টারের তালা ভেঙ্গে চুরি করে পালিয়ে যায়। এছাড়াও বাক্স পার্টি ও হাসাপাতাল এলাকায় বেশ কিছু দোকানের সার্টার ভাঙ্গার চেষ্টা করে তারা।
এদিকে জীবননগর বাজারে দীর্ঘ দিন বাজার কমিটি না থাকায় বাজারে একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও কোন প্রতিকার না হওয়ায় হতাশ ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন সময়ে চুরির ঘটনায় ধরা ছোয়ার বাহিরে চক্রের সদস্যরা। অভিযোগ করেও মিলছে না কোন প্রতিকার। ফলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মাঝে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যায়। রবিবার সকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসেই দেখতে পায় ক্যাশ বাক্স ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। চোর চক্র একই রাতে দোকানের টিন কেটে পাশাপাশি সাতটি দোকানে, হাসপাতাল সড়কে সার্টার ভেঙ্গে তিনটি দোকানে হক সুপার মার্কেটের নিকট সবুজ ইলেকট্রনিকে চুরি সংঘটিত করে আনুমানিক দেড় লাখ টাকা ও একজোড়া আটআনা স্বর্ণের চুড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সময় সড়ক, বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি-ছিনতাই সংঘটিত হয়েছে। যার অধিকাংশ ঘটনা পৌর শহরের মধ্যে ও আশেপাশে । এ সব ঘটনার কোন প্রতিকার না হওয়ায় এমন চুরি-ছিনতাই প্রায় ঘটছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীরা মৌখিক অভিযোগ করেছে। তবে এবিষয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। শহরে নজরদারী ও টহল বাড়ানো হয়েছে। সেই সাথে চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এএজে