খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

জীবননগরে আশঙ্কাজনক হারে চুরি-ছিনতাই বেড়েছে, পুলিশ বক্সের দাবিতে মানববন্ধন

জীবননগর প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। চুরি ও ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। পুলিশ এ চক্রকে শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করতে না পারায়, সাধারণ মানুষ ডাকাতি ও ছিনতাইকারির হাত থেকে রক্ষা পেতে মানববন্ধন করেছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর বাস স্টান্ডে খয়েরহুদা, মনোহরপুর ও কাশিপুর গ্রামবাসি ব্যানার হাতে এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, মনোহরপুর, খয়েরহুদা, কাশিপুর ও আন্দুলবাড়িয়া সড়কে প্রায়ই ডাকাতি ও ছিনতাইের ঘটনা ঘটছে। ৩০ বছর ধরে এ রাস্তায় ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে তবুও আজ পর্যন্ত প্রশাসনের কার্যকারী ভূমিকা দেখতে পেলাম না। এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটলে প্রশাসন কয়েকদিন সজাগ থাকে। পরে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। এতে তিন গ্রামের মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের ২/৩শ’ জন জীবননগর, দর্শনা ও চুয়াডাঙ্গা বাজারে ব্যবসা করে যা তারা প্রতিদিন রাতে এই রাস্তা দিয়ে আতঙ্কের মধ্যে বাড়ি ফিরতে হয়। তাঁরা এলাকায় ডাকাতি ও ছিনতাই বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় একটি পুলিশ বক্স বসানোসহ নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, জীবননগর উপজেলায় ছিনতাই ও ডাকাতি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলেছে, তবুও প্রশাসনের তেমন ভূমিকা আমাদের চোখে পড়েনি। এভাবে চুরি ছিনতাই ডাকাতির ঘটনা ঘটলে আমরা চলাচল করবো কিভাবে? আমরা যারা ব্যবসা বাণিজ্য করি তাদের সন্ধ্যা হলে ঘরে ফিরতে ভয় হয়।

সর্বশেষ ১৫ আগস্ট রাতে এই সড়কে ছিনতাইকারিদের কবলে পড়েন জীবননগর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি রনি টের্ড্রাসের পরিচালক স্থানীয় বাসিন্দা কৌশিক আহম্মেদ জনি। তিনি বলেন, ১৫ আগষ্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে ৪/৫ জন তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার নিকট থেকে ৫ হাজার ২৫৫ টাকা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং ৪ মাস আগে একই স্থান থেকে ২২ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেন।

এর ১৫ দিন আগে একই সড়কে আরও তিনজন ডাকাতির শিকার হন। তার মধ্যে দুলাল বলেন, ব্যবসার কাজ শেষে রাত ১০টার দিকে বাসায় ফেরার পথে গাড়ি গতিরোধ করে ৫/৬ জন ছিনতাইকারি দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার হাত,পা ও মুখে বেধে আমার নিকট থেকে সোনার আংটি, চেইন ও নগত টাকা নিয়ে মাঠের মাঝে আমাকে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।

এছাড়াও টায়ার ব্যবসায়ি দুলুল ইসলামের নিটক থেকে নগত ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেন। তাছাড়া সাপ্তাহিক বাজার ও পশু হাটের দিন তাদের উৎপাত বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, মনোহরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল, সাধারণ সম্পাদক বকুল হোসেন, মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, বিআরডিবির সাবকে কর্মকর্তা আবুল হাসান, ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তা সৈয়কতকুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক আকিমুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।

এবিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, এলাকাবাসির অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। কেডিকে ও মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে পুলিশ বক্স বসানোর চেষ্টা চলছে।

খুলনা গেজেট/ টি আই

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!