সমাজে একটি কথা প্রচলিত ‘মানুষ মানুষের জন্য তবেই তো জীবন ধন্য’ সে লাইনের এক অনন্য ব্যক্তি জীবননগর উপজেলার নতুন তেতুলিয়া গ্রামের মোঃ লিটন মিয়া। বয়সে তরুণ। তারুণ্যমনা সকল মানুষদের সাথে নিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘উপহার লাইব্রেরী’ স্বপ্ন আর সম্ভাবনা তার মানুষের জন্য।
উপহার লাইব্রেরি নামে একটি লাইব্রেরি তিনি পরিচালনা করছেন ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে। আপাতত তিনি বাসা থেকে পরিচালনা করছেন লাইব্রেরিটার সকল কার্যক্রম। বর্তমানে তিনি নিজেও একজন ছাত্র। বই সংগ্রহ করে সেগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রদান করাই তার প্রধান লক্ষ্য।
লাইব্রেরি সম্পর্কে লিটন মিয়া বলেন, চাকরি অথবা অবসর জীবনে একটা লাইব্রেরীর দোকান দেওয়া লাইব্রেরীটা বড় করতে ও জীবনের শেষ সময় টুকু কাটাতে চাই। বইয়ের আদান-প্রদানের সকল হিসাব সঠিকভাবে রাখা হচ্ছে বলে আমি মনে করি। এটা যুগের পর যুগ থেকে যাবে আমার পরর্বতী প্রজন্মের দ্বারা ইনশাআল্লাহ।
বই নেওয়ার ক্ষেত্রে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকলের কাছ থেকে বই প্রতি ৫ টাকা নিই। এটা অনেক সময় কাজে লাগে। বিভিন্ন জায়গায় বই প্রদান ও গ্রহণে বেশ খরচ হয় যাতায়াতে। ছাত্র বয়সে এটা বহর করা কঠিন প্রায় তাই সামান্য অর্থ নেওয়া। আর আমাদের এলাকাতে অনেক ছাত্র ছাত্রী বই কিনে পড়তে বাধার সম্মুখীন হয়৷ কিন্তু আমি চাই সেটা দূর করতে৷ অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরা বইয়ের অভাবে নিজেদেরকে পিছে ফেলে। আমি চাই আমরা দামি দামি বই গুলো কাগজের দামে বিক্রি না করে সেগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের দিতে।
চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসী ও জীবননগরের ছাত্র ছাত্রীর কাছে আমার আবেদন আমাকে আপনারা এই কাজে সাহায্য করুন৷ আর দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই এবং বলতে চাই আপনারা নিজ নিজ এলাকাতে এই কাজটা শুরু করেন৷ এমন করে বাংলাদেশে একসময় ১০০% শিক্ষিত দেশ হিসাবে গড়া যাবে।
সাহিত্য পরিষদের শফিকুল ইসলাম রাজু বলেন, উপহার লাইব্রেরী অনেক নাম শুনেছি, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বই সহজে পৌঁছে দেওয়া লিটন মিয়ার এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
খুলনা গেজেট/এনএম