একটা সময় ছিল যখন মানুষের জীবনধারার একটা বড় অংশ জুড়ে থাকত ভেষজ। ঠান্ডা লাগা, হালকা জ্বর, সর্দি কাশি, পেটের সমস্যা সব কিছুতেই চলতো ভেষজের ব্যবহার। মধু-তুলসি, চুন-হলুদ সব কিছুই কাজ করতো ম্যাজিকের মতো। এমনকি রূপচর্চাতেও বড় জায়গা জুড়ে ছিল ভেষজ বা ঘরোয়া উপাদানের। থেরাপিস্টরা বলছেন, যতই আধুনিক ওষুধ বা প্রসাধনী পণ্য আসুক না কেন এসব ভেষজের আবেদন কখনই ফুরাবার নয়। বিশেষ করে কয়েকটি পাতা সবসময়ই উপকারী।
পুদিনা পাতা : এতে আছে ভিটামিন এ, আয়রন, ফোলেট ও ম্যাঙ্গানিজ। যা হজমে উপকারী। স্মুদি ও ডিটক্স ওয়াটারে মিশিয়ে আপনি পুদিনা পাতা খেতে পারেন। এটি মুখে দুর্গন্ধ হওয়া প্রতিরোধ করে।
নিম : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি নিম ব্যথা, হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য, প্রদাহ, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
তুলসি: তুলিসি পাতার ঔষধি গুণ অনেক। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমিয়ে তুলসি মানসিক প্রশান্তি দেয়। এছাড়া, সর্দি কাশির সমস্যাও কমায় তুলসি পাতা। চায়ের সঙ্গে বা ডিটক্স ওয়াটারে তুলসি পাতা খেতে পারেন।
কারিপাতা: অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিম্যাক্রোবায়াল গুণে ভরপুর কারিপাতা। ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই পাতা খুবই কার্যকরী। স্বাদ বদলাতে রান্নায় এই পাতা ব্যবহার করতেই পারেন। এছাড়া, খালি পেটে সকালে ৪-৫ টা কারিপাতা খেলেও উপকার পাবেন।
পার্সলে পাতা : ভিটামিন এ ও সি-র গুণে ভরপুর পার্সলে পাতা লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
পানপাতা : পানপাতা হজমে উপকারী। ব্রণের সমস্যাও কমায় এই পাতা।
খুলনা গেজেট/এনএম