বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ। বগুড়ার গাবতলীর নিভৃত পল্লী বাগবাড়ীতে ১৯৩৬ সালে কমল নামে যে শিশুর জন্ম হয়েছিলে তিনিই জিয়াউর রহমান। মাত্র ১৭ বছর বয়সে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা দেন স্বাধীনতার।
সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মেজর জিয়া নিজেও ছিলেন সম্মুখসমরে। বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার মিলিত বিপ্লব তাকে নিয়ে আসে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল হন রাষ্ট্রপতি। তিনি চার বছর বাংলাদেশ শাসন করার পর ১৯৮১ সালের ৩০ মে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন।
এদিকে দলের প্রতিষ্ঠাতার শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গত ২৯ মে থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। চলবে, আগামী ৫ জুন পর্যন্ত। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে –
৩০ মে : ভোর ৬টায় দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন ও নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। এদিন সকাল ১১টায় দলের মহাসচিবসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও মাজার জিয়ারত করবেন। দুপুর ১২টার পর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন পর্যায়ক্রমে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও মাজার জিয়ারত করবে। ঢাকা মহানগরীর ৪০টি স্থানে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অসহায়-দুঃস্থ মানুষের খাদ্যদ্রব্য/বস্ত্র বিতরণ করা হবে। বিএনপির মহাসচিব, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।
৩১ মে : ঢাকা মহানগরীর ৪০টি স্থানে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য/বস্ত্র বিতরণ করা হবে। বিএনপির মহাসচিব, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।
জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক দলের (জাসাস) উদ্যোগে শহীদ জিয়ার জীবনভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
১ জুন : জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে শহীদ জিয়ার কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা সভা, সকাল ১১টায়।
২ জুন : জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা, দুপুর আড়াইটায়।
৩ জুন : জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা, সকাল ১১টায়।
৪ জুন : জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল। সময় : বাদ আসর গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়।
৫ জুন : জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা, সময় পরে জানানো হবে।
৬ জুন : জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা, সময় : সকাল ১০টা।
৭ জুন : জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে আলোচনা সভা, সময় : সকাল ১০টা।
৮ জুন : জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা।
৯ জুন : জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে শহীদ জিয়ার ওপর প্রকাশিত বই প্রদর্শনী।
১ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত : দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরীতে সংশ্লিষ্ট ইউনিট বিএনপির উদ্যোগে শহীদ জিয়ার কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা সভা। বিএনপির সিনিয়র নেতারা সরাসরি অথবা ভার্চুয়ালি জেলা ও মহানগরের এই কর্মসূচিতে অংশ নিবেন।
এ ছাড়া অনুরূপভাবে সারা দেশের জেলা, মহানগর, উপজেলা/থানা ও পৌরসহ সব ইউনিট কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪০তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ মে ভোর ৬টায় দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।
এ ছাড়া স্ব স্ব ইউনিটগুলো সুবিধামতো সময়ানুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩০ মে দোয়া মাহফিল ও দুঃস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী/বস্ত্র বিতরণ করবে।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে পৃথক পৃথক পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে এবং ৩০ মে বিভিন্ন সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে।
খুলনার কর্মসূচি : ৩০ মে সূর্যোদ্বয়ের সাথে সাথে সকল দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনর্মিতকরণ, কলো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ। সকাল সাড়ে ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া। বাদ জোহর থেকে বাদ এশা ওয়ার্ড পর্যায়ে দোয়া অনুষ্ঠান ও দুঃস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ। ৩১ মে থানা পর্যায়ে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান।