খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ছিলেন আওয়ামী লীগের দু:সময়ের কান্ডারী। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন। তিনি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। পঁচাত্তর পরবর্তী এবং সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। আজীবন তিনি দলের জন্য নি:স্বার্থভাবে কাজ করেছেন। শুধু তিনিই নন তার সহধর্মীনি আইভি রহমানও ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন দু:সময়ের দিকপাল।
রবিবার (২০ মার্চ) বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জিল্লুর রহমানের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃহবন্দী থাকা অবস্থায় তিনি সফলতার সাথে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি তিন তিন বার দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। জিল্লুর রহমান একজন জনপ্রিয় জননেতা ছিলেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকা ভৈরব থেকে ছয় বার মহান জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০১৩ সালের ২০ মার্চ সিংগাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জিল্লুর রহমানের মতো আদর্শ, ত্যাগী ও নীতিবান রাজনীতিবিদ হওয়ার আহ্বান জানান।
স্মরণ সভায় আরও বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, শেখ আবিদ উল্লাহ, সামছুর রহমান তালুকদার, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মীর মো. লিটন, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, মো. সিহাব উদ্দিন, মো. সেলিম হোসেন, নূরানী রহমান বিউটি, নূর জাহান রুমি, হাফিজুর রহমান হাফিজ, আল আমিন উকিল, ইয়াছিন আরাফাত, মো. তাজুল ইসলাম, রোজী ইসলাম নদী, আব্দুল মালেক, মো. জিলহজ্ব হাওলাদার, আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, জব্বার আলী হীরা, ইবনুল হাসান, মাহমুদুর রহমান রাজেস, এম এ হাসান সবুজ, রুম্মান আহমেদ, মো. চয়ন হোসেন সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
স্মরণ সভা শেষে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও গ্রেনেড হামলায় নিহত তার সহধর্মীনি আইভি রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি রফিকুল ইসলাম।
খুলনা গেজেট/ এস আই