খুলনা ৪ আসনের এমপি বাফুফের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ির জমিটি কার- এ নিয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। এ বিষয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিলের কথা থাকলেও, বারবার সময় নিয়েছে দুদক।
গত বৃহস্পতিবার দুদকের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন দেয়া হয় হাইকোর্টে। যেখানে বলা হয়, গুলশান আবাসিক এলাকার বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি দেখিয়ে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নামে জাল চিঠি তৈরি করে সালাম মুর্শেদীকে বরাদ্দ দিয়েছে রাজউক। মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে এ তথ্য জানানো হয়। সূত্র : চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর অনলাইন
তবে ১৯৯৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করা চিঠির কোনো তথ্য নেই মন্ত্রণালয়ের রেজিস্ট্রারে। তাই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের সম্পত্তি বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি আপাতদৃষ্টিতে তাই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এখানে কিছু দুর্নীতি হয়েছে সেটা পরিষ্কার। তবে এ দুর্নীতিতে কার কতটুকু দায়বদ্ধতা, কার কতটুকু সংশ্লিষ্টতা তা অনুসন্ধান না করে বলা যাবে না। হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে আমরা অনুসন্ধান করছি। যে তথ্য উপাত্ত অনুসন্ধানে পাওয়া যাচ্ছে তা আমরা হাইকোর্টকে অবহিত করছি।
রোববার (১৪ অক্টোবর) এসব নথি দাখিল করা হবে হাইকোর্টে। এরই মধ্যে ফের সময় চেয়েছে অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান দুদক।
দুদক আইনজীবী বলেন, দুদক কিছু যৌক্তিক কারণ দেখিয়েছে যে ফাইলগুলো অনেক পুরনো। যার কারণে সব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বেশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলোর সূত্র ধরে যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে না তার খোঁজ করা হচ্ছে। জটিল প্রক্রিয়া হওয়ায় এ কাজে কমিশনের কিছু সময় লাগছে। এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে তা আদালতে দাখিল করে আমরা আরও তথ্য সংগ্রহের জন্যে আদালতে সময় চাইবো।
এদিকে, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন না দেয়া হলে আদালত অবমাননা হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন হাইকোর্ট।
খুলনা গেজেট/কেডি