বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের জগদ্দল পাথরের ন্যায় চেপে বসা জালিমের হাত থেকে মুক্ত হয়ে দেশের মানুষ মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছে। দেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছে এবং শান্তিতে-স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারছে। এমনই একটি সময় আজ স্বাধীনতা দিবস পালন হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্ততৃায় তিনি এ সব কথা বলেন।
এসময় তিনি জুলাই গণ-আন্দোলনের সব শহীদদের এবং আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারী ও সকল শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বলেন, গত জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ আবার নতুন করে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই দিবসে শান্তি-স্বস্তির নতুন বাংলাদেশ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সকলকে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, পতিত সরকারের দোসররা এবং দেশের স্বার্থান্বেষী মহল বিদেশী আধিপত্যবাদী শক্তির সহায়তায় ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন এবং দ্বিতীয় স্বাধীনতাকে ভুলন্ঠিত করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে চলছে। তারা দেশকে আবার অস্থিতিশীল করতে চাইছে এবং পতিত স্বৈরাচারকে ফিরিয়ে আনার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এ অবস্থায় আজ স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতা দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তদানীন্তন শাসককোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। ক্ষুধা-দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও দুঃশাসন মুক্ত একটি দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বস্তরের জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরে আজ দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি হিসাব করলে দেখা যায়, বহু প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি।
এ সময় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী, অফিস সেক্রেটারি মিম মিরাজ হোসাইন, খুলনা সদর থানা সেক্রেটারি মো. আব্দুস সালাম প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ টিএ