জার্মানিতে বসবাসরত তুর্কি বংশোদ্ভূতদের একটি এলাকায় মাইকে শব্দ করে আজান নিষিদ্ধের আবেদন করেন এক ব্যক্তি। সেই আবেদনের কারণে মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ হয় আজান। ৫ বছর পর ২০২০ সালে এসে সে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির আদালত। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া’র ওরে-এরকেনসচিক প্রদেশের একটি আদালত এ রায় দেন।
এ রায়ের ফলে ওই অঞ্চলে মাইকে শব্দ করে আজান দিতে আর কোনো বাধা রইলো না।
রাইন-ওয়েস্টফালিয়া এলাকার একজন স্থানীয় অমুসলিম ২০১৫ সালে শব্দ করে আজান দেয়ার বিরুদ্ধে আবেদন করেন। তার সেই আবেদনের পর শব্দ করে আজান নিষিদ্ধ হয়ে যায়। তবে শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় ১৫ মিনিটের মধ্যে সব মসজিদের আজান শেষ করার অনুমতি দেয়া হয়।
পাঁচ বছর আগের ওই আবেদনে একটি মসজিদের পাশে বসবাস করা দম্পতি দাবি করেন উচ্চ স্বরে আজান তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করছে। তাদের ওই আবেদন আদালত অযৌক্তিক উল্লেখ করে বাতিল করে দেন।
রায়ে আদালত বলেন, ‘প্রত্যেক জাতি বা সম্প্রদায়কেই অন্য জাতি বা সম্প্রদায়ের ধর্মীয় কার্যক্রম এবং প্রার্থনার সময় পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। এবং কিছু বিষয় নিজে থেকেই মেনে নিতে হবে।’
আদালত বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত কেউ কাউকে নিজের ধর্ম পালনে বাধ্য করবে না ততদিন পর্যন্ত এ ধরণের অভিযোগ অগ্রহণযোগ্য।’
খুলনা গেজেট/এআইএন