খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড
সাঈদী ইস্যুতে প্রবাসী ছেলের ফেসবুক স্ট্যাটাসে মা আটক

জামিন হয়নি মায়ের, আতংকে বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে প্রবাসী ছেলের ফেসবুক স্ট্যাটাসে মা আটকের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর জামিন হয়নি। মঙ্গলবার খুলনা মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলামের আদালতে ওই নারীর জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন।

বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি গবেষণারত তানজিলুর রহমানের বাবাও আতংকে রয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাকেও মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে বলে এলাকায় প্রচার করা হচ্ছে।

গত ২০ আগস্ট সকালে নগরীর বয়রা হাজী ফয়েজ উদ্দিন সড়কের ভাইয়ের বাড়ি থেকে আনিছা সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, ‘অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র করার জন্য সমবেত’ হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আনিছা সিদ্দিকাসহ আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়।

অবশ্য ফেসবুকে তানজিলুর রহমান অভিযোগ করেন, ফেসবুকে সাঈদীকে নিয়ে লেখালেখি করায় তার মামা বাড়ি ভাংচুর চালায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগের লোকজন। সেখানে গিয়ে ভাংচুরের প্রতিবাদ করায় তার মাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

আনিছা সিদ্দিকার আইনজীবী মনিরুল ইসলাম পান্না খুলনা গেজেটকে বলেন, মঙ্গলবার সকালে আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। আবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার নারী বায়োবৃদ্ধা এবং নানা রোগে আক্রান্ত। ঘটনাস্থল তার বাবার বাড়ি। বৃদ্ধ বয়সে বাবার বাড়ি গিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ হাস্যকর। বয়স বিবেচনা ও সুচিকিৎসার জন্য তার জামিন প্রয়োজন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। আমরা পরবর্তীতে নকল তুলে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন চাইবো।

আনিছা সিদ্দিকার স্বামী আলমগীর শিকদার বলেন, মঙ্গলবারও শ্বশুর বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে। নিজের ও শ্বশুর বাড়ি এলাকায় সরকারি দলের লোকেরা প্রচার করছে, মায়ের পর ওর বাবাকে জেলে ঢোকানো হবে। ফেসবুকে যা খুশি, তাই লেখার মজা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দেব।’

খালিশপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রাকিব হাসান  বলেন, ২১ আগস্ট আনিছা সিদ্দিকাসহ ৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা কারাগারেই রয়েছেন।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!