খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: প্রথম দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলল ২৫০, বাংলাদেশ পেল ৫ উইকেট

জামিন পেলেও এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না মির্জা ফখরুল

গেজেট ডেস্ক

রাজধানীর পল্টনে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা নয়টি মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে, এখনই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তি মিলবে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

বুধবার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা থানার আরেকটি মামলায় তাকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। এ মামলায় এর আগে বিচারিক আদালত জামিন না দিলে হাইকোর্টে জামিন চাওয়া হয়।

এছাড়া, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, শাহজাহান ওমর, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ শীর্ষস্থানীয় সব নেতার বিরুদ্ধেই ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় নাশকতার মামলা হয়।

মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন

হাইকোর্ট ও বিচারিক আদালতে এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচবার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর, নাশকতা ও পুলিশ হত্যার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় মোট ১১টি মামলা হয়। গ্রেফতারের পর থেকে ৭৩ দিন ধরে কারাগারে রয়েছেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি নেতাদের আইনজীবীদের অভিযোগ, ‘১১টি মামলা করলেও গ্রেফতারের সময় মির্জা ফখরুলকে মাত্র একটি মামলা দেখানো হয়। তখন এক আদালত থেকে জামিন পেলে আবার আরেক মামলায় গ্রেফতার দেখাবে। অর্থাৎ এক আদালত থেকে আরেক আদালতে ঘুরতে হবে। আইনি প্রক্রিয়াকে কিভাবে অপব্যবহার করা যায় এটা তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। সরকার তাকে দীর্ঘমেয়াদী কারাগারে রাখার জন্য এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে।’

ওই আইনজীবীরা আরো বলছেন, ‘পরে হাইকোর্টে আবেদন করে বিচারিক আদালতকে সবগুলো মামলার জামিন শুনানি করতে নির্দেশনা নিতে হয়েছে। এভাবে সময় ক্ষেপণের প্রক্রিয়া করছে সরকার।’

বুধবার দুপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পল্টন ও রমনা থানার নয়টি মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলামের জামিন আবেদনের শুনানি হয়।

প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এ শুনানিতে তার আইনজীবী আসাদুজ্জামান নয়টি মামলার এজাহার ধরে বিশ্লেষণ করেন।

তার আইনজীবী সগির হোসেন লিওন জানান, ‘হাইকোর্ট বাকি আটটি মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তি করতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টকে নির্দেশ দিয়েছে। সরকার বিচারিক প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করতে একেকজনের বিরুদ্ধে অনেক মামলা থাকলেও গ্রেফতারের সময় আদালতে মাত্র একটি মামলায় হাজির করে। যেন জামিনের আবেদন একটিতে হয়। ফলে বাকি সব মামলায় জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবার রিট করে বিচারিক আদালতকে নির্দেশনা নিতে হয়েছে বেশিরভাগ বিএনপি নেতার মামলায়।’

সূত্র : বিবিসি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!