সিলেটের জাফলংয়ে পর্যটকদের মারধরের ঘটনায় মামলা করেছেন আহত এক পর্যটক। সুমন সরকার নামের ওই যুবক বৃহস্পতিবার রাতে পাঁচজনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এই মামলায় গোয়াইঘাটের পন্নগ্রামের লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস, ইসলামপুর গ্রামের সেলিম আহমেদ, নয়াবস্তি এলাকার সোহেল রানা, পশ্চিম কালীনগর গ্রামের নাজিম উদ্দিন ও ইসলামপুর রাধানগর গ্রামের জয়নাল আবেদীনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সময় এই পাঁচজনকে আটক করা হয়। জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে টিকিট কেনা নিয়ে পর্যটকদের সঙ্গে কাউন্টারে থাকা উপজেলা প্রশাসনের কর্মীদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই কর্মীরা লাঠি দিয়ে পর্যটকদের মারধর করেন। এ সময় কয়েকজন নারীকেও লাঞ্ছিত করেন তারা।
সে সময়ের বেশ কিছু ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লেখা নীল ইউনিফর্ম পরা তিনজন লাঠি দিয়ে একদল পর্যটককে পেটাচ্ছেন। কয়েকজন নারী তাদের থামাতে গেলে তাদের লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ঘটনার পর সমালোচনার মুখে শুক্রবার থেকে জাফলংয়ে সাত দিন বিনা টিকিটে ভ্রমণের ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান।
গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। প্রশাসন থেকে তাদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।
‘এই ঘটনায় আমাদের পর্যটনের অনেক ক্ষতি হলো। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি। এর মধ্যে তিনজন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করেছি এবং স্থানীয় পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’