খুলনা, বাংলাদেশ | ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৭
  ভারতীয় সব বাংলা চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে করা রিটের শুনানি বুধবার

জানেন তো সেহরিতে কী খাবেন এবং কী এড়িয়ে চলবেন

লাইফ স্টাইল ডেস্ক

দেখতে দেখতে চলে এলো পবিত্র রমজান মাস। আজ যদি চাঁদ দেখা যায় তবে কাল থেকে রোজা শুরু। এই রমজান মাসের গুরুত্ব মুসলিমদের জন্য অনেক বেশি। এই মাসটা ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীতে কাটিয়ে দেন।

ভোররাতে উঠে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু করেন তারা। এরপর মাগরিবের আজানের সঙ্গে রোজা ভেঙে ফেলেন ইফতারি খেয়ে। এই সময় খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল নিতে হবে। যেহেতু সেহরি দিনের প্রথম খাবার, তাই কিছু ব্যাপার খেয়াল রাখা জরুরী, নাহলে সারাদিন রোজা রাখায় অসুবিধা হতে পারে।

সেহরিতে যা খাওয়া উচিৎ

• শর্করাযুক্ত খাবার দেহে শক্তির যোগান দেয়। বিশেষ করে দানাদার শস্যের তৈরী খাবার যেমন ওটস, ব্রাউন রাইস, বার্লি ইত্যাদি খাবার অনেকটা সময়ের জন্য দেহে শক্তির যোগান দেয়। তাই এ জাতীয় খাবার সেহরিতে খাওয়া উচিৎ। এতে করে দেহে সারাদিনের শক্তি সঞ্চয় হবে।

• ফলমূল ও সবজিতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও আঁশ। এছাড়াও দেহের পানির স্বল্পতা দূর করতেও অবদান রাখে। বিশেষ করে তরমুজ, কমলার মতো ফল এবং শসা, টমেটোর মতো সবজি দেহের পানির ঘাটতি দূর করে। তাই সেহরিতে সালাদ হিসেবে বা এমনিও খেতে পারেন এসব ফল ও সবজি।

• প্রোটিনযুক্ত খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করে।
রোজা রেখে দৈনন্দিন কাজ কর্মে সক্রিয় থাকার জন্য সেহরিতে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরী। বিশেষ করে দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, চর্বিহীন মাংস, মাছ এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের মাঝে মটরশুটি, মসুর ডাল, ছোলা, বাদাম এসব খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

• কিছু চর্বিযুক্ত খাবার আছে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সেগুলো সেহরিতে যুক্ত করতে পারেন। যেমন অ্যাভোকাডো, বাদাম, জলপাইয়ের তেল এবং স্যালমনের মতো স্বল্প চর্বিযুক্ত মাছ এসব চাইলে খেতে পারেন সেহরিতে।

• রোজায় পানিশূন্যতার মতো সমস্যা অনেকেরই দেখা দেয়। এজন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিৎ। এছাড়াও চিনিমুক্ত ফলের রস, ডাবের পানি বা ভেষজ চা-ও খেতে পারেন।

সেহরিতে যা খাবেন না

• অতিরিক্ত তেল বা অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার অস্বস্তির কারণ হতে পারে। সারাদিন রোজা রেখে শারীরিক অস্বস্তির সৃষ্টি যেন না হয় সেজন্যই সেহরিতে এজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ।

• অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ এতে করে শর্করার মাত্রা ওঠা-নামা করতে পারে যার ফলে শক্তি সঞ্চিত থাকতে সমস্যা হতে পারে। চেষ্টা করবেন সাদা চিনি এড়িয়ে চলার জন্য। এর বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন গুড়, মধু বা এজাতীয় খাবার।

• লবণাক্ত খাবার বেশি খেলে পানির তৃষ্ণা বাড়তে পারে। সেহরিতে এরকম খাবার এজন্য এড়িয়ে চলাই ভালো।

• ঝাল মশলাযুক্ত খাবার খালি পেটে খেলে অস্বস্তি ও অম্বল হতে পারে। যদি সেহরিতে এজাতীয় খাবার খান তাহলে সারাদিন অস্বস্তিতে ভুগতে পারেন। তাই এগুলো না খাওয়াই ভালো। অনেকেই আছেন ভাতের সঙ্গে কাঁচা মরিচ খেতে পছন্দ করেন, সেহরিতে সেটিও এড়িয়ে চলা উচিৎ।

• ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় যেমন চা, কফি এগুলো অতিরিক্ত পান করলে পানি পান করার তৃষ্ণা বেড়ে যায়। তাই চা-কফি প্রেমীদের সেহরিতে এগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। একান্ত না পারলে ভেষজ চা খেতে পারেন কারণ সেগুলো ক্যাফেইনমুক্ত।

সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া

খুলনা গেজেট/ এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!