অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে এখনো পর্যালোচনা চলছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের মেডিসিন এজেন্সি। আগামী ২৮ ডিসেম্বর নাগাদ অক্সফোর্ডের টিকার ডোজ তৈরি হয়ে যেতে পেতে পারে, একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এমন খবরের পর এই নতুন তথ্য সামনে এলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
ব্রিটিশ সরকারের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ডিসেম্বরে অক্সফোর্ডে ভ্যাকসিনটির অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। টিকার অনুমোদন পেতে জানুয়ারির শুরু পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
এদিকে অক্সফোর্ডের টিকা পাওয়ার সময় দীর্ঘায়িত হওয়ায় ব্রিটিশ সরকার ও স্বাস্থ্য সংস্থার মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে বলে দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে। হতাশার পেছনে কারণ হলো, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য গত ২ ডিসেম্বর ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এরপর গত ৮ ডিসেম্বর দেশটিতে এই টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। কিন্তু যুক্তরাজ্যের নিজেদের অর্থাৎ অক্সফোর্ডের টিকা এখনো অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশ ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা অনুমোদন দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভ্যাকসিনটির এর প্রয়োগও শুরু করেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর একটি প্রতিবেদনে গত ১৮ ডিসেম্বর দাবি করা হয়, গত সোমবার যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন মেডিসিন্স অ্যান্ড হেল্থকেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সির (এমএইআরএ) কাছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে। আগামী ২৮ বা ২৯ ডিসেম্বর ওই প্রতিবদেন অনুমোদন করতে পারে এমএইআরএ। সংস্থাটির সবুজ সঙ্কেত মিললেই আগামী বছরের গোড়ায় এই টিকা বাজারে আসতে পারে। মানবদেহে অক্সফোর্ডের টিকার প্রয়োগ সুরক্ষিত কি না, এমএইআরএ-কে তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা আরো জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। সেইসঙ্গে ফাইজারের টিকার মতো তিন সপ্তাহের ব্যবধানের বদলে অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে চার সপ্তাহের ব্যবধান রাখতে হবে।
বিভিন্ন বয়সের মধ্যে অক্সফোর্ডের টিকার প্রতিরোধ ক্ষমতার রকমফের হওয়ার কারণে এটি অনুমোদনে দেরি হচ্ছে বলে মনে করেন অনেকে। তবে সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ইকার দুটি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বেশি হওয়ায় এর প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি হবে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ৪০ লাখ ডোজ নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি থেকে সরবরাহ করা হবে। তবে ভ্যাকসিনের বেশির ভাগ ডোজই যুক্তরাজ্যে উৎপাদন করা হবে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
খুলনা গেজেট/এনএম