মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার ভোর ৫ টা ৫৫ মিনিটে স্মৃতিসৌধের প্রবেশ করে বেদিতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি, এরপর প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস আজ।
৫০ বছর আগে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি লাভ করে বাংলাদেশ। আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন—একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রেসিডেন্ট তার বাণীতে দেশবাসীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নকে জনমুখী ও টেকসই করতে সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণে সব ভেদাভেদ ভুলে সবাই মিলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ থেকে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। শুক্রবার জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ব্যাপক আয়োজনে থাকবেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
খুলনা গেজেট/কেএম