কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাহবুব খান সালাম (৪০) নামে জাতীয় যুব জোটের এক নেতাকে হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১১ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলার আল্লারদর্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাহবুব খান সালাম জাসদের জাতীয় যুব জোটের দৌলতপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক। তিনি উপজেলার আমদহ গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী ও উপজেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক টোকেন চৌধুরীর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন হামলা চালায়। তারা সালামকে কোপায় ও হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে আল্লারদর্গা বাজার থেকে ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন সালাম। এ সময় রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আলী রাজ নামে এক ব্যক্তি সালামকে ডাক দেয়। এ সময় ভ্যান থেকে নেমে আলী রাজের কাছে গেলে অন্ধকারে ওৎ পেতে থাকা সেলিম চৌধুরী ও টোকেন চৌধুরীর নেতৃত্বে বাদশা, বকুল, মাছুম, রাজীব, শাহীন, রাজা, রেজুসহ প্রায় ২৫ জন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সালামের ওপর হামলা চালায়। তারা সালামকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ১২টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় সালামকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সালামের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখমের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবীদ হাসান, হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী ও উপজেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক টোকেন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
জাতীয় যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন এক বিবৃতিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সালামের প্রতি গভীর শোক এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তারা বলেন, মাহবুব খান সালাম ছিলেন প্রতিবাদী ও স্পষ্টবাদী। তারা অবিলম্বে সালামের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।