খুলনা, বাংলাদেশ | ১৮ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ৩ মার্চ, ২০২৫

Breaking News

  রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত ৩
  জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল
  নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৮
জুলাই-আগস্টের ঘটনা

জাতিসংঘের করা প্রতিবেদন ৫ মার্চ সদস্য দেশগুলোকে জানাবেন ভলকার তুর্ক

গেজেট ডেস্ক 

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংগঠিত নৃশংসতা সম্পর্কে জাতিসংঘের তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদন ৫ মার্চ সদস্য দেশগুলোকে জানাবেন বিশ্ব সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।

জেনেভায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক সরকার এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সহিংস উপাদানগুলোর পাশাপাশি, গত বছরের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাসমূহের সঙ্গে জড়িত ছিল।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য এবং অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে, প্রতিবেদনে একটি সরকারি নীতি উঠে এসেছে যা সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের এবং সমর্থকদের আক্রমণ ও সহিংসভাবে দমন করার নির্দেশ দেয়, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের মত উদ্বেগ উত্থাপনকারী এবং জরুরীভাবে আরও ফৌজদারি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।

বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত মৃত্যুর তথ্যের ভিত্তিতে, প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে, এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন, এবং এদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনীসমূহের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তন্মধ্যে, প্রতিবেদনটি নির্দেশ করেছে যে নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে যে তাদের ৪৪ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনকারী উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত থেকে, কিন্তু এর পেছনে ছিল ধ্বংসাত্মক ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি এবং প্রশাসন থেকে সৃষ্ট বিস্তৃত ক্ষোভ, যা অর্থনৈতিক বৈষম্যের সৃষ্টি করেছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্ষমতায় থাকার জন্য সাবেক সরকার ক্রমাগত সহিংস পন্থা ব্যবহার করে এই বিক্ষোভগুলো দমনে পদ্ধতিগতভাবে চেষ্টা করেছিল।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!