সামনে এসে ফুলটসই পেয়েছিলেন রিশাদ, কিন্তু দাসুন শানাকার বলটি মিড অফ পার করাতে পারেননি রিশাদ। জাকেরকে স্ট্রাইক ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব এরপর ছিল তাসকিন আহমেদের। শানাকার ওয়াইড তাঁকে স্বস্তি দেয় শুরুতে। পরের বলে জাকেরকে স্ট্রাইক ফিরিয়ে দেন তিনি।
শানাকা এরপর করেন ফুললেংথে। জাকের তুলেছিলেন। কিন্তু লং অফে আসালাঙ্কাকে পার করাতে পারেননি। ৩৪ বলে ৬৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে থেমেছেন জাকের। সেটি বাংলাদেশকে আশা জুগিয়েছে, কিন্তু যথেষ্ট না-ও হতে পারে!
শরীফুল ভাবলেন অন্য কিছু। এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার। পরের বলে সিঙ্গেল। শেষ বলে স্ট্রাইকে তাসকিন, বাংলাদেশের দরকার ছিল তাতে ৫ রান। ৪ হলে সুপার ওভার, ৬ হলে জয়। তাসকিন সিঙ্গেলের বেশি নিতে পারেননি।
৩ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা।
এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬১ রান করেছেন সাদিরা সামারাবিক্রমা।
ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই লঙ্কানদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শরিফুল। এই বাঁহাতি পেসারের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে ছিল, সেখানে ড্রাইভ করতে যেয়ে আভিষকার ব্যাটের আউট সাইড এজে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। সহজ ক্যাচ নেন লিটন দাস। দ্বিতীয় বলে উইকেট নিয়ে শরিফুল উদযাপন করেছেন ‘টাইমড আউট’-এর ভঙ্গিতে।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি কামিন্দু মেন্ডিসও। ইনিংসের পঞ্চ ওভারে এই টপ অর্ডার ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ১৯ রান। ৩৭ রানে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারানোর পর ঘুরে দাড়ায় লঙ্কানরা।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা মিলে যোগ করেন ৯৬ রান। ফিফটির দেখা পেয়েছেন দুই ব্যাটারই। মেন্ডিস করেছেন ৩৬ বলে ৫৯ রান। আর সামারাবিক্রমা অপরাজিত ছিলেন ৪৮ বলে ৬১ রান করে।
শেষদিকে ২১ বলে ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন চারিথ আসালঙ্কা। তাতে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পেয়েছে লঙ্কানরা। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।
খুলনা গেজেট/কেডি