ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে পটুয়াখালীতে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার পর বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. মাসুদ রানা বলেন, সকাল থেকে পটুয়াখালীতে ট্রেস বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৬টায় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়ায়েদ ৮৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থা করছিল। এটি আরও উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গভীর বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। বৃষ্টির কারণে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষরা।
সকাল থেকে খেটে খাওয়া মানুষকে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। রিকশাচালক মো. মনির বলেন, আমাগো তো সম্পদ নাই। গরিব মানুষ। কাম না করলে ঘরে ভাত জুটবে না। তাই কষ্ট হলেও বের হইছি। হাত-শরীর ইতোমধ্যে বরফ হয়ে গেছে।
মো. মাসুদ রানা বলেন, পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর সর্তকতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মাছ ধরার ট্রলার কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তবে গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ স্থলভাগের ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানায়নি আবহাওয়া অফিস। তবে, ভারতের বাংলায় তা ঢুকতে পারে গভীর নিম্নচাপ হিসাবে। শনিবার সকালে হাওয়া অফিসের বুলেটিন অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপাগরেই এখন অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। গত ৬ ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়েছে সে। শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় মৌসম ভবনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বিশাখাপত্তনম থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পুরী থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ৫ ডিসেম্বর তা পুরী উপকূলে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। এর পর তা ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে। তার পরই তা ক্রমশ এগিয়ে আসতে পারে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায়। কিন্তু বাংলায় যখন আসবে, তখন তার শক্তি কতটা থাকবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এখনও অবধি মৌসম ভবন যা জানিয়েছে, তাতে গভীর নিম্নচাপ হয়েই ‘জওয়াদ’-এর বঙ্গে ঢোকার সম্ভাবনা প্রবল।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ঘণীভূত হওয়ার জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশ শনিবার সকাল থেকেই মেঘলা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বিক্ষিপ্ত থেকে হালকা বৃষ্টিও হতে পারে কলকাতায়। উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই