সাতক্ষীরা শহরের বদ্দীপুর কলোনী এলাকার স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থ হওয়ায় এবং ত্রাণ দেওয়া নিয়ে মিথ্যেচারের প্রতিবাদে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলের বিরুদ্ধে ঝাটা মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। শুক্রবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বদ্দীপুর কলোনী এলাকায় ঝাটা মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা করেন সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, বদ্দীপুর কলোনী জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মনু, রবিউল ইসলাম, আব্দুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ’শহরের বদ্দীপুর কলোনী এলাকার বছরের প্রায় ৬ মাস পানিতে তলিয়ে থাকে। প্রতিবারই ভোটের আগ মুহুর্তে মেম্বর চেয়ারম্যানরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান নির্বাচিত হলে পানি নিস্কাশনসহ বদ্দীপুর বাসীর উন্নয়নে কাজ করবেন। পরে দেখা যায় তাদের আর কোন খবর নেই। প্রতি বছর বর্ষা মৗেসুম এলেই আমাদের এভাবে পানিতে ডুবতে হয়। এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মকর্তাদের অবগত করালে তারা শুধু পরিদর্শনেই সীমাবন্ধ রাখেন। এবছরও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি।’
তারা বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর সেলিমসহ পৌর কর্তৃপক্ষ বদ্দীপুর এলাকা পরিদর্শনে আসেন। সে সময় মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ২টি ট্রলি বরাদ্দ দেন। যাতে ফ্রি মানুষ যাতায়াত করতে পারে। অথচ ট্রলি দুটি সকালে একবার আসে তারপর আর খুজে পাওয়া যায়না। মানুষকে সেই ১০ টাকা হারে ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এখানকার মানুষকে পর্যাপ্ত খাদ্য সহযোগিতায় দিয়েছেন বলেও তিনি প্রচার দিয়েছেন। অথচ গত মে মাস থেকে এলাকা জলাবদ্ধ। কিন্তু পৌরসভার পক্ষ থেকে এলাকার আড়াই শাতাধিক পরিবারের মধ্যে সম্প্রতি ৩/৪টি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল এবং একজনকে ১ হাজার ও আর একজনকে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে এলাকায় ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা। যা সম্পূর্ণ মিথ্যে।’
স্থানীয়রা বলেন, ‘আমরা কোন ত্রাণ চাই না, কোন সহযোগিতা চাই না। আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদপেক্ষ চাই।’ দ্রুত পানি নিস্কাশনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
এর আগে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ঝাটা এবং জুতা হাতে নিয়ে জলামগ্ন বদ্দীপুরের বিভিন্ন মোড় প্রদক্ষিণ করে এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থ মেয়র ও কাউন্সিলের পদত্যাগ দাবি করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম