জলবায়ূ পরিবর্তন মোকাবেলায় জাতীয়ভাবে সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা জরুরী। জলবায়ূ পরিবর্তনে দায়ী না হলেও বাংলাদেশ অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় দিন বাস্তুহীন, গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি ফসল, মৎস্য উৎপাদন কমছে। লবণাক্ততা বাড়ছে। খেটে খাওয়া মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় অর্থায়ন ও সমন্বিত উদ্যোগ কৌশল শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অ্যাওসেড’র উদ্যোগে কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগিতায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় অভিজাত হোটেল মিলনায়তনে Multi-Actor-Partnerships (MAPs) on Climate and Disaster Risk Finance and Insurance (CDRFI) প্রকল্পের আওতায় সিডিআরএফআই প্রচারের জন্য মাল্টি এ্যক্টর প্লাটফরম এর খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাওসেড’র নির্বাহী পরিচালক শামীম আরফীন। সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান।
আলোচকরা আরো বলেন, যে কোন নীতিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অভিমত গুরুত্বপূর্ণ। ভুক্তভোগী ও সংকটাপন্ন মানুষ কিভাবে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন বা কিভাবে ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন; তার সুস্পষ্ট ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।
পরিবেশগত বায়ূ, পানি ও শব্দ দূষণ কমানো, বৃক্ষরাজি গড়ে তোলা, নদীÑখাল, হাওড়-বাওড়গুলোর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। অপরিকল্পিত নগরায়ন, বিশেষ অপরিকল্পিত উন্নয়ন বন্ধ করতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানির নির্ভরতা যথা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। এ জন্য জলবায়ূ পরিবর্তন মোকাবেলায় দেশী ও আন্তর্জাতিক আইন-নীতিমালাগুলোর সমন্বয় করতে হবে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সচেতনভাবে এসব কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা, কুয়েট ইউআরপি বিভাগের প্রধান ড. তুষার কান্তি রায়, তত্ত্ববাধায়ক প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান. খুলনা ওয়াসার প্রকৌশলী খান সেলিম আহমেদ, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জি এম মোস্তাফিজুর রহমান, মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ^াস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন, পানি অধিকার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির ববি, পরিবেশ দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. ইমদাদুল হক, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের ডেপুটি চীফ ড. মো. নজরুল ইসলাম, বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি আসিফ আহমেদ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের মো. জুবায়ের হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে প্রধান করে একটি পরামর্শ কমিটি গঠন করা হয়।