খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ঢাকার চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি, নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র
  ২০২৫ সালে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন

জলবায়ু সম্মেলন : জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের আহ্বান ড. ইউনূসের

গেজেট ডেস্ক

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে এই গ্রহকে রক্ষা করতে হলে দেশগুলোকে তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসতে হবে বলে মত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মধ্য এশীয় দেশ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে গত সোমবার চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে এখানে এসেছেন ড. ইউনূস। আজ বুধবার তাঁর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কথা তুলে ধরার কথা।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল বাকুর অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি এ সময় বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় সমস্যা। বিশ্ব উষ্ণায়ন এককভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এর জন্য শুধু অর্থায়ন নয়, পাশাপাশি এখনই জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্রকে সরে আসতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি করা সম্ভব।’

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ড. ইউনূস জাতিসংঘ আয়োজিত এ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে শুধু নিজ দেশ নয়, ভারত, নেপাল, ভুটানসহ ‘গ্লোবাল সাউথের’ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অবস্থান তুলে ধরবেন। বাকুতে ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। তাঁদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ক্ষতির নানা বিষয় তুলে ধরছেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ গুরুতর জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে। এটি আমাদের জীবনযাপনকে দুর্বিষহ করে তুলছে, অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। চলতি বছর দেশে ছয়টি বড় বন্যা হয়েছে। আমরা গত ৪০ বছরে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুরসহ কিছু জায়গায় কোনো দিন এমন বন্যার কথা শুনিনি।’

প্রেস সচিব বলেন, সম্মেলনে বাংলাদেশের ক্ষতির বিষয়গুলো তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের ধনী দেশগুলো থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাওয়া ৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার এবং ঋণ হিসেবে পাওয়া ২৫৮ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। উন্নত দেশগুলো যে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ায় এবং সমৃদ্ধ উত্তর গোলার্ধে যে সভ্যতা গড়ে তোলা হয়েছে, তার দায় মেটাচ্ছে বাংলাদেশের মতো দক্ষিণ গোলার্ধের অনুন্নত দেশগুলো। অথচ বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণ খুবই নগণ্য।

বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিবেশবিষয়ক সংগঠন, এনজিও এবং জলবায়ু নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকেরা এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এসব প্রতিনিধিকে দেশের ভয়াবহ জলবায়ু ক্ষতির চিত্র বৈশ্বিক এ ফোরামে তুলে ধরার অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।

জলবায়ুবিষয়ক প্রতিবেদনগুলোতে দেখা যায়, প্রতিবছর বাংলাদেশে জলবায়ুসংক্রান্ত ক্ষতি হচ্ছে ১২ বিলিয়ন ডলার। আর ক্ষতিপূরণ হিসেবে আসছে ৩ বিলিয়ন ডলার। অন্তত সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলারের মতো ব্যবধান থেকে যাচ্ছে।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!