বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা ও বর্তমান সরকারকে উপকূলীয় মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সদস্যরা।
স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকালে লিডার্স শ্যামনগর শাখা অফিসে উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের এক অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভায় এই দাবি তুলে ধরেন বক্তারা।
এসময় তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল একসময় জনমানবশূন্য হয়ে পড়বে। এমতাবস্থায় উপকূলের মানুষের জীবন জীবিকা রক্ষায় সকলের বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
লিডার্সের সিনিয়র ফিল্ড ফাসিলিটেটর শম্পা বিশ্বাস এর সঞ্চালনায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন, ফোরামের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবীরঞ্জন মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আলী আশরাফ, সম্পাদক- রনজিৎ কুমার বর্মন, অধিপরামর্শ বিষয়ক সম্পাদক মানবেন্দ্র দেবনাথ, চন্দ্রিকা ব্যানার্জী, তপন কুমার ম-ল, জি এম আব্দুর রশিদ গাজী, শাহানা হামিদ, অ্যাডভোকেসি অফিসার তমালিকা মল্লিক প্রমুখ।
সভায় উপকূলের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বক্তারা আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আজ মানবতার জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল এই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবথেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। বিভিন্ন অনাকাক্সিক্ষত প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলবাসী আজ নাজেহাল। তারা উদাহরণস্বরূপ বলেন, পাইকগাছার এই বাঁধ যদি সঠিক সময়ে রক্ষণাবেক্ষণ করা হত তাহলে পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙ্গে ১৩ টি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেত। উপকূলের মানুষের জানমালের এত ক্ষয়ক্ষতি সংঘটিত হত না।
তারা আরো বলেন, জলবায়ু সংকট যেহেতু মানবতার জন্য হুমকিস্বরূপ তাই এই জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান সরকারের কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। একই সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন প্রক্রিয়া বাড়াতে হবে। আগামীতে সরকারের প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। বর্তমান সরকারকে উপকূল রক্ষায় এগিয়ে আসার আহবান জানান বক্তারা।
খুলনা গেজেট/এনএম