সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’র নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (কেএসআরএম) মুখপাত্র ও গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
শনিবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে কেএসআরএমের শীর্ষ কর্মকর্তারা জিম্মি জাহাজটির ২৩ নাবিকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা একসঙ্গে ইফতার করেন। পরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মিজানুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের ‘এমভি জাহান মনি’ নামে আরেকটি জাহাজ হাইজ্যাক করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তাদের মুক্ত করতে একশ’ দিন সময় লেগেছিল। এবার আরও কম সময়ে এমভি আবদুল্লাহকে মুক্ত করতে পারবো বলে আমাদের বিশ্বাস। আলোচনা চলছে।
কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা বলেন, শুক্রবার আমরা নাবিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আবার নাবিকরা তাদের স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলেছে। এসবই আলোচনার অংশ। বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না এখন।
সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর অদূরে একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেভাল ফোর্স। বৃহস্পতিবার রাতে ইইউ নেভাল ফোর্সের এক্স অ্যাকাউন্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তাদের হেলিকপ্টারও জিম্মি জাহাজ ঘিরে চক্কর দিয়েছে। তবে সেখানে সামরিক অভিযানে আপত্তি জানিয়েছে মালিকপক্ষ। আগে জিম্মি ২৩ নাবিককে নিরাপদে ফেরাতে চাইছে তারা।
সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যু দমনে ‘অপারেশন আটলান্টা’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইইউএনএভিএফওআর। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এক্স অ্যাকাউন্টে এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে কার্যক্রমের তিনটি ছবি ও একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন যুদ্ধজাহাজ থেকে এমভি আবদুল্লাহর ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন ইইউ নেভাল ফোর্সের দুই সদস্য। এ সময় একটি ভিডিওতে যুদ্ধজাহাজ থেকে ইইউ নেভাল ফোর্সের একটি হেলিকপ্টারকে এমভি আবদুল্লাহর ওপর দিয়ে উড়ে যেতেও দেখা যায়।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। এর পর থেকে দস্যুদের কাছে জিম্মি আছেন জাহাজটির ২৩ বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। সর্বশেষ অবস্থান অনুযায়ী জাহাজটি সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙরে রয়েছে। গত ২০ মার্চ দস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে প্রথমবার যোগাযোগ করেছে। মালিকপক্ষও নাবিকদের ছাড়িয়ে আনতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এইচ