২ উইকেটে ৩০৭ রানে শুরু হলো দ্বিতীয় দিনের খেলা। সঙ্গে আরও একবার বাংলাদেশের জন্য লম্বা দিনের বার্তা। ১৪১ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শুরু করেছেন টনি ডি জর্জি। সেটাকে দেড়শতে নিয়ে যেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি প্রোটিয়া ওপেনারের। দিনের ৮ ওভার শেষ হতেই পেয়ে যান দেড়শ রানের দেখা। তাইজুল ইসলামকে চার মেরে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ড্যাডি সেঞ্চুরি।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের জন্য ছিল হতাশার মুহূর্তও। দ্বিতীয় ওভারে হাসানের বলে বেডিংহামকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন তিনি। এরপর স্ট্যাম্পিংয়ের আবেদনও ছিল তার বিপক্ষে। সেখানেও বেঁচে গিয়েছেন তিনি। দিনের প্রথম নয় ওভার শেষে উঠেছে ৩৫ রান। ডি জর্জির ১৫৬ রানের সঙ্গে বেডিংহাম অপরাজিত ৩৮ রানে।
এই প্রতিবেদন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২ উইকেট হারিয়ে ৩৫০ রান।
উইকেটে ঘাসের ছোঁয়া নেই, স্পিনারদের জন্যও বলার মতো তেমন কিছুই ছিল না। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের উইকেটে বোলারদের জন্য কাজটা তাই কঠিনই ছিল। টনি ডি জর্জি ও ট্রিস্টিয়ান স্টাবসে ভর করে আগের দিনই বড় স্কোর করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই সেঞ্চুরির পর তারা দিন শেষ করে ২ উইকেটে ৩০৭ রান দিয়ে।
দ্বিতীয় দিনের খেলা কেবলই মাঠে গড়ালেও বাকি দিনের অবস্থা বুঝতে খুব একটা কষ্ট করতে হয় না। প্রবাদের মতো করে বলা যায়, দিন কেমন যাবে তা সকাল থেকেই বোঝা যায়। ডি জর্জি আর বেডিংহাম সেই প্রত্যাশিত শুরুটাই পেয়েছেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
খুলনা গেজেট/এনএম