জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো। বর্ষা আর জোয়ারের পানিতে অনেক সময় তলিয়ে যায় সাঁকোটি। রামপালের গৌরম্ভা ইউনিয়নের সায়েরাবাদ গ্রামের নদী উপর অবস্থিত এই সাঁকোটি হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ব্যক্তিরা এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় স্কুলশিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রামপালের গৌরম্ভা ইউনিয়নের সায়েরাবাদ বাজারের দক্ষিন পার্শ্বের নদী উপরে একটি বাঁশের সাকো আছে ৷ প্রায় প্রতিবছর বাঁশের সাঁকোটি মেরামত করতে হয় এলাকাবাসীর ৷ সারাবছরই পায়ের জুতা খুলে কাপড় ভিঝিয়ে নদী পার হতে হয়। সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলে চারদিকে কাঁচা রাস্তা ভারী হয়ে যায় লোকজনের চলাচল। ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন সাঁকো দিয়ে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ জনসাধারনের পারাপার হতে হয়৷ তবে বর্ষাকালে পানির স্তর বেড়ে সাঁকোটি ডুবে গিয়ে পরিণত হয় মরণফাঁদে ৷ কয়েকবার দূর্ঘটনার শিকারও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
স্থানীয়রা জানান, নদীতে সেতু না থাকায় সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়ি দিতে হয়। এভাবে আর কতদিন চলতে হবে তা আমরা জানিনা। তবে প্রতিবছর একবার করে এলাকাবাসী মিলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে থাকি। তাছাড়া, এলাকায় রয়েছে অসংখ্য স্কুল-মাদ্রাসা মসজিদসহ বিভিন্ন পাঠাগার। তবে নদীর মধ্যে ব্রীজ না থাকায় বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছি আমরা।
গৌরম্ভা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী গিয়াসউদ্দিন জানান, বাগেরহাট ৩ আসনের এমপি এবং বন পরিবেশ ও জলবায়ু উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আঃ খালেককে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি মন্ত্রানালয়ে এ বিষয়টি অবহিত করেছেন ৷ এলাকার এই বাঁশের সাঁকোর স্থলে ব্রীজ এবং কাঁচা রাস্তাটি পাকা করা হলে উন্নয়ন সম্পূর্ন হবে৷ এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন ৷
খুলনা গেজেট / এমএম