করোনা ভাইরাস মহামারী পরিস্থিতিতে আগামী ১১ আগস্ট স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিমালার আলোকে এ বছর জন্মাষ্টমী পালন করা হবে। তবে দিনের সব অনুষ্ঠান মন্দিরাঙ্গনে সীমাবদ্ধ থাকবে। ফলে এ বছর কোনো সমাবেশ, শোভাযাত্রা, মিছিল হবে না। শনিবার (৮ আগস্ট) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি জন্মাষ্টমী ২০২০ উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময়ে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, এ বছর জন্মাষ্টমী বিশেষ ব্যবস্থায় উদযাপন করা হবে। এ ক্ষেত্রে মন্দির/দেবালয়ের প্রবেশদ্বারে আগত ভক্ত দর্শনার্থীদের জীবাণুমুক্ত করা হবে। মন্দির কর্তৃপক্ষ হাত ধোয়ার ও স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ভক্ত ও পুরোহিত উভয়কেই মাস্ক পরতে এবং হ্যান্ডস গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। আগত ভক্তদের সবাইকে পরস্পর থেকে রক্ষা করতে হবে তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব। অপ্রয়োজনে মন্দিরে অপেক্ষা বা কোনো অবস্থায়ই জনসমাগম করা যাবে না। মন্দিরে/দেবালয়ে পূজা ও দর্শনের সময়সূচি ও স্বাস্থ্য নির্দেশনাসংবলিত ফলক টাঙাতে হবে। ভালোভাবে ধৌত করতে হবে পূজার নৈবেদ্য হিসেবে ব্যবহৃত দ্রব্য। এ ছাড়া প্রসাদে কাটা ফল দেওয়া যাবে না।
সভায় জানানো হয়, পূজা উদযাপন পরিষদের একান্ত ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও করোনার কারণে সীমিত আকারে মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করতে ১০ জুলাই সারাদেশের সব মঠ-মন্দিরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আগামী ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে পরিষদের পক্ষ থেকে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ১৪ আগস্ট বেলা ১১টা থেকে পরবর্তী ১৫ মিনিট সব জেলা/মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা, থানা এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে একযোগে কালো ব্যাজ ধারণ করে মৌন শোক অবস্থান কর্মসূচি পালন হবে। ১৫ আগস্ট সব মন্দির দেবালয়ে অনুষ্ঠিত হবে প্রার্থনা ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হবে খাবার।
সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি। বক্তব্য দেন পরিষদ সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন ম-ল। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেএল ভৌমিক, ডিএন চ্যাটার্জি, পূরবী মজুমদার, অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল, অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, বাবুল দেবনাথ, অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার রায় প্রমুখ।