তেরখাদা উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যৌথবাহিনীর নিয়মিত টহলে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ফলে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের চলাচলে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট আবিদের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান ও প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উপজেলা বিভিন্ন স্থান কিছু হামলা, দখল, চাঁদাবাজী ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। মাঠে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী না থাকার সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতা কর্মীরা ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে বিরাজ করে হামলা, লুটপাট আতঙ্ক এবং আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হতে থাকে। এরপর উপজেলা সদরে অস্থায়ী সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ও থানা পুলিশ কর্মবিরতির পর ব্যাপক নজরদারি ও টহলের ফলে ধীরে ধীরে জনমণের শঙ্কা কেটে স্বস্তি ফিরতে শুরু করে। বর্তমানে যৌথবাহিনীর কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রম ও টহলের কারণে আইন শৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি আগের সেই স্বাভাবিক অবস্থার মতো হয়ে আসছে। যৌথবাহিনীর অংশ হিসেবে নৌবাহিনীর সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ হাট-বাজারে জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণা ও শান্তিপূর্ণ বসবাসের জন্য সাহস যোগাচ্ছেন।
বর্তমান সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তেরখাদা উপজেলায় যৌথবাহিনী নিয়মিত অভিযান ও টহল পরিচালনা করছে করে আসছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। দেশের কল্যাণে নৌবাহিনীর এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে এমন মন্তব্য করেছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা। কেউ কোথাও বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে সেটা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। বিশৃংখলাকারীরা যে দলের হোক তাদের কঠোর হস্ত দমন করা হবে। তারা দেশের শত্রু, তারা জনগণের শত্রু এমন কথাও বলেছেন।
খুলনা গেজেট/এএজে