গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাওয়া, জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা এবং েএকটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে হবে। কারণ একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া কেবলমাত্র এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামালে হবে না। এই দৈত্য সরকার যে রাষ্ট্রটা বানিয়ে গেছে, এই রাষ্ট্রকে না বদলালে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি না হলে, এই দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে নগরীর শিববাড়ি আলহাজ্ব মোহান্মদ শহিদুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সংগ্রাম ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সংগঠনের খুলনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক মুনির চৌধুরী সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য দেওয়ান আব্দুর রশীদ মিলু, শ্রমিক নেতা নূর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, সংগঠনের খুলনা যশোর আঞ্চলিক কমিটির আহবায়ক ইলিয়াজ হোসেন, ঝিনাইদহ জেলা কমিটির আহবায়ক নজরুল ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির নেতা কে এম আলীদাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সহ-সভাপতি শেখ আঃ হালিম, জেএসডি’র জেলা কমিটির সভাপতি খান লোকমান হাকিম।
জোনায়েদ সাকি বলেন, রাষ্ট্রের মধ্যে সবাই হচ্ছে নাগরিক এবং নাগরিকরা সুযোগের ক্ষমতা পাবে। সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে, সবাই মানবিক মর্যাদা পাবে। রাষ্ট্র কাউকে ধর্মের ভিত্তিতে, জাতির ভিত্তিতে, কিংবা নারী পুরুষের ভিত্তিতে আলাদা চোখে দেখবে না। রাষ্ট্র প্রত্যেককে দেখবে নাগরিক হিসেবে।এই দেশের নাগরিক মানে আপনি সমান সুযোগ পাবেন।
তিনি বলেন, আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে একটা ন্যায়বিচারের অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে। মানুষ যাতে বিচার পায় সেই ন্যায় বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। সাম্য, মানবিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, অর্থনীতিতে যদি তুমুল বৈষম্য চলে একজন টাকার পাহাড় গড়ছে আর আরেকজন দিনের আহার ঠিকমতো করতে পারছে না। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন এই রকম তুমুল বৈষম্য কি ন্যায়বিচার?
তিনি বলেন, বিরোধী দলের আন্দোলনে ৩১ দফা কর্মসূচি হাজির করেছি। এই ৩১ দফা প্রস্তাবনা মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। আগামী রাষ্ট্রটা কেমন হবে? কি রকম হবে? আগামী দিনের ক্ষমতা কিভাবে জবাবদিহিতা দিতে থাকবে, ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে? এই ব্যবস্থা করার প্রস্তাব আমাদের দিতে হবে। মানুষ এটা (৩১ দফা) নিয়ে যত বেশি আলোচনা করবে, এই স্বপ্ন প্রতিষ্ঠায় জাগরুক থাকব, তাহলে ভবিষ্যতে কেউ এইটা (৩১ দফা) থেকে সরে যেতে পারবেনা।
বক্তৃতা করেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা কামরুল হাসান, গণতন্ত্র মঞ্চের সংগঠক মোঃ আলতাফ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা কামরুজ্জামান টুকু, শ্রমিকনেতা নুর ইসলাম, মনির হোসেন মুন্নি, মোশাররফ হোসেন, শামসুজ্জোহা ,শামসুল আলম শামসু প্রমুখ।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য মোঃ আল আমিন।
খুলনা গেজেট/এইচ