সংসদ নির্বাচন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব পড়েছে রাজস্ব খাতে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বরে) রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকায়। এর আগে জুলাই-নভেম্বরে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ১৬ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। ফলে এক মাসের ব্যবধানে ঘাটতি বেড়েছে ৬ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। শুধুমাত্র ডিসেম্বর মাসেই রাজস্ব ঘাটতি ৬ হাজার ৭৮২ কোটি ২১ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে প্রথম ৬ মাসে আয়কর, মূসক ও শুল্ক খাতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে আদায় হয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে আমদানি-রপ্তানি শুল্কে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৭ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৪৯ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। ফলে এ সময়ে ঘাটতি ৮ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। একই সময়ে মূসক বা ভ্যাটের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কম আদায় হয়েছে ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা। ভ্যাট আদায় হয়েছে ৬৪ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা।
আলোচ্য সময়ে আয়কর আদায় হয়েছে ৫১ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। ফলে এ সময়ে ৮ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে।
যদিও ৬ মাস শেষে রাজস্বের এই আহরণ বিগত অর্থবছরের চেয়ে বেড়েছে ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৮৮ ভাগ অর্জিত হলেও বড় ঘাটতি এড়াতে পারেনি এনবিআর।
ডিসেম্বরে তিন খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ হাজার ৬২ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৩৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আদায় হয়েছে ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা।
এ মাসে (ডিসেম্বরে) শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৭ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা। ভ্যাটের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ১৩ হাজার ২১৩ কোটি টাকা। আয়করে ১৪ হাজার ৯২১ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় ১২ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা।
খুলনা গেজেট/ টিএ