গ্রেফতারকৃত ৬ ধর্ষকের প্রতীকি গণ ফাঁসির রায় কার্যকর করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ প্রতীকি গণ ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
এর আগে, প্রতীকি ফাঁসির মঞ্চ তৈরি। ফাঁসির জন্য দড়ি আনা। এরপর ৬ প্রতীকি ধর্ষককে ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয়। প্রত্যেকের মাথা কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়। পরে এক দড়িতে ৬ ধর্ষকের প্রতিকি ফাঁসি কার্যকর হয়।
ফাঁসির রায় কার্যকর করতে জল্লাদের দায়িত্ব পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিপলি বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হাসান হৃদয়। আর বিচারক হিসেবে ৬ ধর্ষকের ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন বিজিই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শেখ ফাহিম।
পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর ফাঁসির দড়ি নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় বিপুল সংখ্যক আন্দোলনরত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে এ ঘটনায় আন্দোলনের আজ চতুর্থ দিন চলছে। রবিবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র পিউ মৃধা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ দুপুর ১২ টায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ষণবিরোধী নাটক অনুষ্ঠিত হবে বিকাল চারটায়। এ ছাড়া সন্ধ্যা সাতটায় আলোর মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বক্তব্য হলো, যে সকল ধর্ষক ইতিমধ্যে ধরা পড়েছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করা, আন্দোলনকারী ছাত্র শিক্ষকদের ওপর বহিরাগতদের হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার, হলের বাইরে যে সকল শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে তাদের সঠিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং মন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দাবিদাওয়া তুলে ধরা ও প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা ক্লাস এবং পরীক্ষার হলে ফিরে যাবেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে শহরের নবিনবাগ এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ৬ ধর্ষককে গ্রেফতার করে র্যাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এ আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।
খুলনা গেজেট/এনএম