সাতক্ষীরায় ছেলে হত্যার বিচার দাবি করে অঝোরে কাঁদলেন বাবা শেখ হেমায়েতউদ্দিন হিমু। তিনি বলেন এক বছর পার হয়ে গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি জামিনে বাড়ি ফিরেছে। অথচ আমি ছেলে হত্যার বিচার পেলাম না আজও। সোমবার (২২ মার্চ) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আকুতি জানান খুলনার ফুলবাড়ি গেটের বাসিন্দা নিহত কলেজ ছাত্র রাসুল আহমেদ জিম এর বাবা শেখ হেমায়েত উদ্দিন হিমু।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি তার ছেলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ম্যানেজমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র রাসুল আহমেদ জিম অপহৃত হয়। এর একদিন পর পুলিশ সাতক্ষীরা শহরের চালতেতলা বাগান বাড়ির জনৈক লিটনের বাড়ির প্রাচীর ঘেরা উঠানে মাটি চাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় আমার ছেলের এক সময়ের সহপাঠী লিটনের ভাড়াটিয়া জাহিদ হাসান ও তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার টুনি। জাহিদ ও তার স্ত্রী টুনি প্রথমে পুলিশ ও পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে। পুলিশ তদন্ত শেষে তাদের স্বামী-স্ত্রীর নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
হেমায়েত উদ্দিন আরও জানান, এ ঘটনার পর গত ৩ জানুয়ারি জাহিদ ও তার স্ত্রী টুনি জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। তারা এখন এই মামলা প্রত্যাহারের ধুয়া তুলে আমার পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। মোটর সাইকেলে জাহিদসহ কয়েক যুবক আমার বাড়িতে এসে মামলা না তুললে আমার পরিবারে আরও ক্ষতি হবে বলেও শাসিয়েছে। হুমকি দিয়ে জাহিদ আরও বলেছে একটি মার্ডারে যা, দুটি মার্ডারেও একই সাজা হবে। দুই লাখ টাকা দিয়ে জামিন নিয়েছি। এখন নতুন করে শুনতে পাচ্ছি এ মামলা নাকি ফের তদন্ত হবে। তিনি বলেন এ সংক্রান্ত দু’টি মামলার একটির বাদি পুলিশ, অপরটির বাদি আমি নিজেই। তিনি দ্রুত এই হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ জানান মামলাটি কি অবস্থায় রয়েছে তা নথি পত্র না দেখে বলা সম্ভব নয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শেখ হেমায়েতের ভাই মোঃ শাহাবুদ্দিন, জুয়েল, শ্বশুর এমআই সিদ্দিক, কামরুল ইসলাম প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/ টি আই