শুধু মাঠের ক্রিকেটই নয়, নারী আম্পায়ারদের নিয়েও বড় পরিকল্পনা বিসিবির। আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনায় তাদের প্রস্তুত করতে চায় বোর্ড। আসন্ন নারী প্রিমিয়ার লিগে দেখা যাবে নারী আম্পায়ারদের। শুধু তাই নয়, ছেলেদের ডিপিএলেও নারী আম্পায়ারদের সম্পৃক্ত করতে চায় বিসিবি। জানিয়ছেন এই বিভাগের দায়িত্ব পাওয়া বোর্ড পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠু।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের বিবিয়ানা স্টেইনহস থেকে বাংলার সালমা আক্তার। ছেলেদের ফুটবলে নারী রেফারি হিসেবে ইতিহাসের অংশ তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এমনকি বিশ্বকাপের মতো আসরেও নারী রেফারিরা প্রমাণ করেছেন নিজেদের মুনশিয়ানা। সেদিক বিবেচনায় ২২ গজে আম্পায়ার হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ কম। বাংলার ক্রিকেটে যে সংখ্যাটা তো আরো নগণ্য।
তবে দেরিতে হলেও টনক নড়েছে বিসিবির। চলমান স্কুল ক্রিকেট দিয়ে ২৫ জন নারীর অভিষেক হচ্ছে আম্পায়ারিংয়ে। যে সংখ্যাটা বাড়ছে সহসাই। ক্রিকেট আম্পায়রিংয়ে নারীদের সংম্পৃক্ত করতে নয়া পরিকল্পনা বোর্ডের।
বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে বলেন, ‘অনেক সাবেক ক্রিকেটার আছেন, যারা এখন প্রিমিয়ার লিগ খেলছেন। প্রিমিয়ার লিগ খেললে তো তাদের আম্পায়ার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যায় না। যারা এটার বাইরে আছে তাদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ফিটনেসের অবস্থা দেখতে হবে। ৪-৫ বছর আগেই অনেকে পরীক্ষা দিয়েছিল, কিন্তু বেশির ভাগই কোনো উন্নতি হয়নি। তাদের সঙ্গে আমি চেষ্টা করব নতুন করে নারী আম্পায়ারের জন্য নারী ক্রিকেটারদের সম্পৃক্ত করতে। তারা যেন এই ক্যারিয়ার বেছে নিতে পারে, সে জন্য নতুন কোর্সের অধীনে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’
বোর্ডের দৃষ্টি আরও সুদূরে। শুরুটা করতে চায় আসন্ন নারী প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে। এরপর পর্যায়ক্রমে ছেলেদের ডিপিএলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলার নারী আম্পায়ারদের তারা করতে চায় সিদ্ধহস্ত।
এ বিষয়ে ইফতেখার মিঠু বলেন, ‘পুরনো লিস্ট নিয়েই কাজ করছি। লিস্ট অনুযায়ী যোগাযোগ করে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা করছি। নারী ক্রিকেটার যারা আছেন, যারা এই পেশায় আসতে চান, তাদের আমরা সবসময় স্বাগতম জানাব। আমার লক্ষ্যে প্রথমদিকে নারীদের ক্রিকেটে আম্পায়ারিং শুরু করলেও ছেলেদের ডিপিএলেও তাদের সম্পৃক্ত করা।’
এর পাশাপাশি উন্নত প্রশিক্ষণ ও কোর্সের জন্য নারী আম্পায়ারদের দেশের বাইরে পাঠানোর কথাও ভাবছে বিসিবি।