জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এবং সমপর্যায়ের পদে কর্মরত ২৪০ জন কর্মকর্তাকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এসংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। তাই গতকাল সরকারি ছুটির দিনে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তাঁদের পদোন্নতির জন্য টানা বৈঠকও করেছিল সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। এ জন্য গত বছরের তুলনায় নির্বাচনী বছরে এসএসবি এবার দ্বিগুণ বৈঠক করেছে। গত মঙ্গলবার পুলিশ সুপার (এসপি) পদে ১৭৭ জন ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদে ১৫২ জন কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েছেন। শিগগির পুলিশের অতিরিক্ত আইজির (গ্রেড-২) ১০টি, ডিআইজি (গ্রেড-৩) ৬৫টি পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
প্রশাসন ক্যাডারের ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়ার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, একটি প্রজ্ঞাপনে ২৩১ জন এবং আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ৯ জনকে পদোন্নতি দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এবার নতুন করে ২৯তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ১৭৮ জন এবং অন্যান্য ক্যাডারের ৬২ জন কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়ে উপসচিব হলেন।
গতকাল পদোন্নতি পাওয়া ২৩১ কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাস ও মিশনে থাকা ৯ জন সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছেন। উপসচিব পদে তাঁদের যোগদানপত্র ই-মেইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে তাঁদের পদায়ন করা হবে।
জনপ্রশাসনে উপসচিবের এক হাজার ৪২৮টি পদ রয়েছে।
নতুন করে পদোন্নতি পাওয়াদের নিয়ে এই পদে কর্মকর্তাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭১৮। পদের চেয়ে বেশি পদোন্নতি হওয়ায় অনেক কর্মকর্তাকে আগের পদেই কাজ করতে হবে। এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর ২৫৯ জন কর্মকর্তাকে উপসচিব করা হয়েছিল।
সরকারের উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২ অনুযায়ী উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে বিবেচনায় নিতে হয়। এ ছাড়া উপসচিব পদে পদোন্নতি পেতে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পদে পাঁচ বছর চাকরিসহ কমপক্ষে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।