প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, দখলবাজী-চাঁদাবাজীর কারণে ছাত্ররাজনীতিকে এখন মানুষ আগের মতো সম্মানের চোখে না দেখে নেতিবাচকভাবে দেখে। এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুখকর নয়। তাই শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা, মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
শনিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ষষ্ঠ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবর্তনে চ্যান্সেলর ১৮ হাজার শিক্ষার্থীকে স্বীকৃতি দেন। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর নূরুল আলমসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসেনর শীর্ষ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছে আজকাল রাজনীতিতে ক্ষমতা আর অর্থবিত্তের দাপটই নিয়ামক শক্তি হিসেবে অনেক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। ছাত্ররাজনীতিতেও এসব অশুভ ছায়া ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তনে মেধাবী তরুণদের যথাযথ পরিচর্যার জন্য আমাদের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শনে শিক্ষাকে জাতীয়করণের কথা বলা হয়েছে। সরকার সেই লক্ষ্যে শিক্ষাখাতে বরাদ্দবৃদ্ধিসহ শিক্ষাব্যবস্থার পুনর্বিনাস্যে কাজ করছে। প্রতিটি উপজেলায় অন্তত একটি স্কুল ও একটি কলেজকে জাতীয়করণের আওতায় নিয়ে আসছে। এছাড়াও প্রতি জেলায় বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পদক্ষেপ নিয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি দেশে অনেকগুলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ইতিবাচক উন্নয়নে তরুণ সমাজ মূলচালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। সোনার বাংলা গড়তে হলে তরুণ সমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের তরুণরা যথেষ্ট মেধাবী। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তারা নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে। আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের সকলেরই পরমত সহিঞ্চু ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং সংবেদনশীল হওয়া জরুরি। এসবের মধ্য দিয়ে সমাজ এগিয়ে যায়। প্রথাগত রীতিনীতির পাশাপাশি সংস্কারমূলক চিন্তাভাবনাও ধারণ করতে হবে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড