খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছাত্রী গণধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান বুশেমুরবিপ্রবি ভিসি

গেজেট ডেস্ক

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) একিউএম মাহাবুব।

তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের এমন শাস্তি হতে হবে যাতে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা আগামীতে না ঘটে।’

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে এই কর্মসূচি ডাকা হয়।

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন শত শত শিক্ষার্থী।

মানববন্ধনে ভিসি একিউএম মাহাবুব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিভিন্ন এলাকায় অনেক শিক্ষার্থী বসবাস করেন। তাদের নিরাপত্তায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কারা হামলা করল তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে।’

আইন বিভাগের শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়েল প্রক্টর রাজিউর রহমান বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে। কেন তাদের ওপর হামলা হলো- আমরা এর বিচার চাই। সেই সঙ্গে হামলা ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। থানায় অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ওই ছাত্রীর একাধিক সহপাঠী জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগের হেলিপ্যাড এলাকায় দাঁড়িয়ে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন ওই ছাত্রী। সে সময় একটি অটোরিকশা থেকে নেমে সাত থেকে আটজন ছাত্র তাদের গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুকে মারধর করে ওই ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।

বুধবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমানের লিখিত আবেদনকে মামলা হিসেবে নেয় গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে র‍্যাব ও পুলিশ। তাদের মধ্যে ৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে জেলা পুলিশ।

এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও জড়িতদের শাস্তিসহ কয়েক দফা দাবিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় জড়ো হয়ে মশাল মিছিল করেছেন প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী।

শনিবার সকালে দাবি মানা না হলে ছাত্রত্ব ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আন্দোলনের মুখপাত্র বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহ আল রাজি।

রাজি বলেন, ‘আমরা এখানে লেখাপড়া করতে এসেছি। আমরা হামলা করতে পারব না, কাউকে মারধরও করতে পারব না। আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা সুন্দর করে সবার ভর্তি বাতিল করে এবং শিক্ষকদের সঙ্গে কথা হয়েছে উনারাও উনাদের চাকরি ছেড়ে সবাই চলে যাবেন।’

দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান এই শিক্ষার্থী।

তাদের চারটি দাবি হলো-

১. ধর্ষণে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।

২. বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় বসবাস করা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৩. ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার করা।

৪. এ ছাড়া ধর্ষণ ঘটনা সম্পর্কিত সব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!